হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুর থানার মাধপুর এলাকার বাসিন্দা সুফিয়ার রহমান বিশেষভাবে সক্ষণ সার্টিফিকেট করানোর জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। রাজ্য সরকার প্রদত্ত মানবিক ভাতা-র আবেদন করার জন্য প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট করাতে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন।
হাসপাতালে প্রয়োজনীয় নথি জমা করার জন্য হাসপাতালের সামনের একটি জেরক্সের দোকানে যান সুফিয়ার। সেখানেই পরিচয় হয় অভিযুক্ত শাহজাহান সেখের সঙ্গে। সুফিয়ার রহমানের অভিযোগ, ৫০০ টাকার বিনিময়ে তাঁকে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় শাহজাহান। তিনি প্রাথমিকভাবে সেই প্রস্তাবে রাজি হলেও শাহজাহানের পরিচয় মিলতেই সিদ্ধান্ত বদল করেন। তখনই তিনি হাসপাতালে থাকা পুলিশ ক্যাম্পে গোটা বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ শাহজাহান নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
সুফিয়ার বলেন, ‘বিশেষভাবে সক্ষম সার্টিফিকেট করার জন্য হাসপাতালে এসেছিলাম। রাজ্য সরকারের মানবিক প্রকল্পে আবেদনের জন্য ওই সার্টিফিকেট দরকার ছিল। হাসপাতালের সামনের দোকানে জেরক্স করতে গিয়ে শাহজাহান নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়। ৫০০ টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট করে দেওয়ার কথা সে বলে। আমি প্রথমে রাজি হলেও পরে মন বদল করি। পুলিশকে গোটা ঘটনা জানানো হয়েছে।’
বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ বলেন, ‘এমন একটি ঘটনার কথা কানে এসেছে। আমরা হাসপাতালে দালালচক্র রুখতে বদ্ধপরিকর। প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। আজও একটি অভিযোগ আসে সঙ্গে সঙ্গেই তার জন্য ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’