এবার ধর্মতলায় বিজেপির সভার বিরোধিতায় ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য, জানা গিয়েছে এমনটাই। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
কী পর্যবেক্ষণ ছিল আদালতের?
প্রথমে ২৮ নভেম্বর ধর্মতলায় সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু, ১৫ দিন আগে যদি আবেদন করা না হয় সেক্ষেত্রে অনুমতি নয়, জানানো হয়েছিল পুলিশের তরফে। এরপর ২৯ নভেম্বর নতুন করে সভার আবেদন করা হয়। কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের দাবি, কোনও কারণ না দেখিয়েই সেই সভা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘এটা তো স্বাধীন রাষ্ট্র। একটি আবেদন কোনও কারণ না দেখিয়েই বাতিল করে দেওয়া হয়।’ সেই সময় রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, এই উত্তরগুলি কম্পিউটার জেনারেটেড।
এরপর বিচারপতি বলেছিলেন, ‘সভার অনুমতি দিতেই হবে। তবে এক্ষেত্রে শর্তাবলী ঠিক করে দিতে পারবে পুলিশ।’ সিঙ্গল বেঞ্চের অনুমতির পর তড়িঘড়ি প্রস্তুতি শুরু করেছিল গেরুয়া শিবিরও। কিন্তু, এই সভা ঠেকাতে এবার নতুন করে আদালতের দরজায় কড়া নাড়ল রাজ্য।
কেন এই সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ২০১৯ সালে অমিত শাহ বারবার ভোটের আগে এসেছিলেন বাংলা। এরপরেই ১৮টি আসনে গেরুয়া শিবিরের জয়জয়কার। কিন্তু, বিধানসভায় প্রত্যাশিত ফলাফল করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। অন্যদিকে,পঞ্চায়েতের রিপোর্ট কার্ডও ‘খুব ভালো নয়’। লোকসভায় যাতে এর কোনও ছাপ না পড়ে, সেই দিকে সচেতন গেরুয়া শিবির।
সেই কারণে লোকসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহ রাজ্যের নেতা কর্মীদের পেপ টক দিতে পারেন এদিনের সভা থেকে এমনটাই মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। মোটের উপর লোকসভার আগে রাজনৈতিক দিক থেকে এই সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।