প্রতারিত মহিলার জানিয়েছেন, মাস খানেক আগে কমলাই গ্রামের এক ব্যক্তি রায়গঞ্জের বুধোর গ্রামে গিয়ে মহিলাদের গোষ্ঠী তৈরি করে তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গ্রামের বেশ কিছু মহিলা গোষ্ঠী তৈরি করে ওই ব্যক্তির পরামর্শ মতো তাঁর হাতে আধার, ভোটার ও প্যানকার্ড-সহ ব্যাঙ্কের পাশ বইয়ের প্রতিলিপি তুলে দেন।
এমনকী বায়োমেট্রিক মেশিনে ওই মহিলাদের ফিঙ্গারপ্রিন্টও নিয়ে যান ওই ব্যক্তি ও তাঁর সহকর্মীরা। এরপর বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও ঋণ না পাওয়ায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ঋণ মিলবে না। চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁদের অজান্তেই টাকা গায়েব হয়ে যায়।
বুধোর গ্রামের এমনই একজন প্রতারিত মহিলা রত্না রায় থানায় অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ১০ হাজার টাকা আমার অজান্তে কেউ তুলে নিয়েছে।’ বুধো গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ রায় বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ৫ জন মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মহিলাদের আধার, ভোটার ও প্যান কার্ডের পাশাপাশি পাশ বইয়ের প্রতিলিপি ও মহিলাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের সন্দেহ, এই প্রতারণার সঙ্গে ওই ব্যক্তি ও তাঁর দলবল জড়িত।’
মাস দু’য়েক আগে এমনই একটি প্রতারণা চক্রকে পাকড়াও করেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর সাইবার থানার পুলিশ। জেলার চোপড়া থানা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করছিল তারা।