ফের নিম্নচাপের সম্ভাবনা?
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি থেকে রেহাই পেয়েছে বঙ্গ। যাবতীয় সতর্কতা ও পদক্ষেপ নেওয়ার পর বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়েনি। শুধুমাত্র বাংলাদেশ এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবিত হয়েছে। বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, দিন কয়েকের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই সময় বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রবণতা থাকে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।
তবে দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে এখনও এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জিসি দাস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় তৈরির কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তা আগাম জানিয়ে দেওয়া হবে।
কেমন থাকবে বুধবারের আবহাওয়া?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। ভোর ও রাতের বেলা শীত অনুভূত হবে। তবে পাকাপাকি ভাবে শীত আসতে এখনও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অবধি অপেক্ষা করতে হবে। উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম ভারতের শীতল হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি রাজ্যে।
অন্যদিকে দার্জিলিং ও কালিম্পঙ বাদে উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪৮ ঘন্টায় সামান্য পারদ পতনের সম্ভাবনা।
কলকাতার হাওয়ার গতিপ্রকৃতি
অন্যদিকে কলকাতা তাপমাত্রাতেও খুব বেশি বদলের সম্ভাবনা নেই। বুধবার কলকাতার তাপমাত্র ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখান থেকে রাতের তাপমাত্রা নেমে ২০.১ ডিগ্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি থেকে সামান্য বেড়ে ২৯.৬ ডিগ্রি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা এখনই কুড়ি ডিগ্রির নিচে রয়েছে। সপ্তাহের শেষ দিকে ১৫ ডিগ্রিতে পৌঁছবে পারদ।
শীতের অপেক্ষায় বসে থাকা কলকাতার বাসিন্দা কৌশিক মজুমদার বলেন, ‘উৎসবের মরশুমে চুটিয়ে আনন্দ করার পর আমরা শীতের অপেক্ষা বসে থাকি। কিন্তু এখনও সেইভাবে শহরে পারদ পতন হয়নি। এটা আমাদের মতো শীতপ্রেমীদের কাছে খুবই দুঃখের। এখন কবে শীত পড়বে সেটার জন্যই অপেক্ষা করে থাকতে হবে।’