জানা গিয়েছে, এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রফেসর ও সহ উপাচার্য জোনাথন মিকিকেও। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা এবং অনুষ্ঠানের মডারেটর অমিত মিত্র বক্তব্য রাখার জন্য তাঁকে ডায়াসে আসতে বলেন। বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ জানান।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রফেসর ও সহ উপাচার্য জোনাথন মিকি বলেন, ‘বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হতে পেরে আমি সম্মানিত হয়েছি। এজন্য বাংলাকে ধন্যবাদ, ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’ এরপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সেখানে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রণ জানান। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে আমি দারুণ খুশি। আপনার কাছ থেকেও শিখতে চাই। অক্সফোর্ডের তরফে আপনাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা খুশি যে আপনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেখানে আসবেন। আমরা চাই আপনি আসুন এবং আপনার নিজের কথা বলুন। অক্সফোর্ডের সব সদস্য সহ রাজা তৃতীয় চার্লসও অপেক্ষায় থাকবেন আপনার কথা শুনতে। শীঘ্রই আমাদের সময় দেবেন বলে আশা করছি।’
এই প্রথম নয়, এর আগেও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় ডিবেট সোসাইটি অক্সফোর্ড ইউনিয়নে ভাষণের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি। ২০০ বছরের বেশি পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই সভায় বক্তব্য রাখার নজির রয়েছে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা, মাদার টেরিজা, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রোগান। দেশের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেখানে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেলেও শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
২ ডিসেম্বর ২০২০ সালে দুপুর আড়াইটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্ত অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক পঁয়তাল্লিশ মিনিট আগে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষের তরফে ই-মেইল-এর মাধ্যমে সেই বক্তব্য স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করেন। ২০১৭ সালেও তিনি অক্সফোর্ডের তরফ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময়ও যাওয়া হয়নি তাঁর। এছাড়া রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেবারও যাওয়া হয়নি তাঁর। তৃতীয়বার নিমন্ত্রণ রক্ষায় কবে অক্সফোর্ড যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ভবিষ্যতই বলবে।