কী জানা যাচ্ছে?
দালালদের বিরুদ্ধে BDO নিজে অভিযান চালিয়েই উদ্ধার করেন ১৫৫ বস্তা ধান। অসাধু দালালদের কাছ থেকে বস্তা বস্তা ধান উদ্ধার করা হয়। স্বরূপনগর কৃষিমান্ডিতে গতকাল সকাল থেকেই কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজ শুরু হয়েছিল। প্রচুর কৃষকরা কৃষি মান্ডিতে ধান নিয়ে আসেন। বিকেলের দিকে স্বরূপনগর-এর বিডিও শুভদীপ চৌধুরী খবর পান কিছু দালাল ধান বিক্রি করতে এসেছে কৃষি মান্ডিতে। এরপর তিনি স্বরূপনগর থানার পুলিশকে নিয়ে কৃষি মান্ডিতে হানা দেন। তখনই দালালরা বুঝতে পেরে ধানের বস্তা রেখে পালিয়ে যায়।
উদ্ধার বস্তা বস্তা ধান
প্রচুর কৃষক ধান বিক্রি করতে আসায় ধান কিনতে রাত হয়ে যায়। এরপর সব কৃষকরা ধান বিক্রি করে চলে গেলে ১৫৫ বস্তা ধান ওখানে পড়ে থাকে। সেই ধানগুলো উদ্ধার করে বিডিও ১৫৫ বস্তা ধান বসিরহাট মহকুমা খাদ্য দফতরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ধান বিক্রির ক্ষেত্রে দালাল রাজ আটকাতে কৃষকদের সরাসরি সরকারের কাছে ধান বিক্রি করার অনুরোধ আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হয়। এক শ্রেণির দালালদের দাপটে কৃষকদেরকে ঠকতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষকেও বেশি দামে জিনিস কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে বারবার।
জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এক শ্রেণির দালাল কৃষকদের ঠকিয়ে ধান কেনে। তাঁদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে নিয়ে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে বলে অভিযোগ ওঠে। কম দামে ধান কেনার কারণে কৃষকদেরই বেশি ক্ষতি হয়। এমনকি, মানুষকেও বেশি দামে চাল কিনতে হয় এই দালাল সঙ্কট থাকার জন্য। দালাল রাজ ঠেকাতে জেলার কৃষি দফতরগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া আছে। সেইমতো এদিন স্বরূপনগরের বিডিও উদ্যোগে উদ্ধার হল প্রচুর ধান। দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে আগামী দিনেও অভিযান। চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।