কী ঘটনা?
ফি বছর ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার উদ্যোগে জীবনতলায় ‘MLA Cup’ আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন দল এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তবে এ বছর এই খেলার আসর বসেছিল ভাঙড়ে। ভাঙড় কলেজের মাঠে আয়োজন করা হয় ফুটবল প্রতিযোগিতার গত শনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাত ন’টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার শেষ হতে অনেকটাই রাত হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানের শেষে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক কলেজ বিল্ডিংয়ের ছাদে বাজি ফাটাচ্ছিলেন। সেখানে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের তোড়জোড় চলছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রবর্ধন ঝাঁসহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশকে হুঁশিয়ারি শওকতের
শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছিল বলে পুলিশ ছাদে গিয়ে তা বন্ধ করার চেষ্টা করে। রাত ১০টার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না বলেও জানানো হয়। এমনকী তৃণমূলকর্মীদের গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পুলিশের তাড়া খেয়ে তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাঁরা গিয়ে বিধায়ককে অভিযোগ জানাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে শওকত।
মঞ্চ থেকে আঙুল উঁচিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন শওকত। এক সময় পুলিশের দিকে তেড়ে যেতেও দেখা যায় তাঁকে। শওকতকে মঞ্চ থেকে বলতে শোনা যায়, ‘আরে আমার বন্ধ করে দেব। পুলিশ-প্রশাসনের হয়েছেটা কী! এখানে কি ইয়ার্কি হচ্ছে? কে গ্রেফতার করবে? একবার গ্রেফতার করে দেখাক। এটা কী মগের মুলুক না কি?’ মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার পরামর্শ দেন সঞ্চালক। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই নিয়ে এখনও শওকতের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
শওকতকে নিশানা নওশাদের
শওকত মোল্লার এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে নিশানা করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফর বিধায়ক। নওশাদ বলেন, ‘ঘটনার সময় অতিরিক্তি পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনে এই অনৈতিক কাজ কী ভাবে ঘটল জানি না। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে, এই ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট। আর শওকতের এই ধরনের আচরণ মোটে অপ্রত্যাশিত নয়।’