Suvendu Adhikari : ‘উর্দি ছেড়ে পুলিশ…’, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে চরম সমালোচনা শুভেন্দুর – suvendu adhikari bjp leader attacks state government over law and order issue


জয়নগর, আমডাঙা থেকে জগদ্দল। কোথাও বোমাবাজি তো কোথাও গুলি চালনার ঘটনা। একাধিক শ্যুট আউট, বোমাবাজির ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আইশৃঙ্খলার অবনতির কথা তুলে রাজ্যকে খোঁচা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের।

কী জানালেন শুভেন্দু?

শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘নিত্যদিন গুলি এবং বোমাবাজিতে মৃত্যুর ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে এখন অতি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি খুন ও শ্যুট আউটের ঘটনা থেকেই এই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্বন্ধে ধারণা করা যায়। এ এক বড় উদ্বেগের বিষয়। খুন, ডাকাতি, নারী নির্যাতন, রাজনৈতিক হত্যা, ধর্ষণ করে হত্যা; এমনকি নাবালিকাও ছাড় পায় না, এমন ঘটনা রাজ্যে নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটছে।’

বাড়ছে অপরাধের ঘটনা

উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগররে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর। গোটা জয়নগর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তার কয়েকদিনের মধ্যে আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল এলাকায় এক তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে লক্ষ্য বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। একের পর এক দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

রাজ্যের বিরোধিতায় বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের এহেন পরিস্থিতিকে তুরুপের তাস করতে চাইছে বিরোধী দলগুলি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার ঘটনা থেকে শুরু করে সম্প্রতিক রাজ্যে ঘটে যাওয়ার একের পর এক ঘটনাকে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার তৈরি করতে চাইছে বিজেপি বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলে।

Suvendu Adhikari : বিশ্ব বাংলা সেন্টার, ধনধান্য অডিটোরিয়াম নির্মাণেও কাটমানি? শুভেন্দুর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল
আক্রমণ শুভেন্দুর

বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘গোটা রাজ্যই যেন দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে এবং তারা যত্রতত্র যথেচ্ছা যেন ‘ফাঁকা মাঠে গোল’ দিচ্ছে।’ তাঁর কথায়, এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে বড় কারণ হল, দুষ্কৃতী দমন যাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাঁরা এখন উর্দি ছেড়ে পুলিশ মন্ত্রীর বাড়ির ভৃত্যের কাজ করতে ব্যস্ত। মানসিকতা দেখুন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পাওয়া পুলিশকর্মীরা পুলিশ মন্ত্রীর বাড়ির কালী পুজোয় খাবারের প্যাকেট তৈরি ও বিতরণ করছে। গত দুদিন ধরে রাজ্যে বাণিজ্য সম্মেলন চলছে। বহু দেশ বিদেশের প্রতিনিধিরা কলকাতায় এসেছেন। তার মধ্যেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *