কী জানা যাচ্ছে?
উত্তরকাশীর নির্মীয়মান সুরঙ্গের অংশ ধসে ১০ দিন ধরে আটকে থাকা প্রায় ৪০জন শ্রমিককে উদ্ধার করার জন্য এবার কয়লা মন্ত্রকের নির্দেশে কোল ইন্ডিয়া ডিরেক্টর ECL-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। ১৯৮৯ সালে রানিগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারিতে কয়েকশো ফুট নিচে খনির অভ্যন্তরে থাকা ৬৫ জন খনি শ্রমিককে ৩ দিন পর যেভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল সেই বিষয়টিও বর্তমান উদ্ধারকার্যে অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে
পুরনো কৌশল সম্পর্কে খোঁজ
যে সুরঙ্গ নতুন করে তৈরি করে ওই ক্যাপসুল নামানো হয়েছিল তা কীভাবে হয়েছিল এবং কোন ড্রিল মেশিনে তা করা হয়েছিল বা সেই ড্রিল মেশিন কোথা থেকে এসেছিল এই সমস্ত বিষয়গুলি তিনি জানতে চেয়েছিলেন। ইসিএল কর্তৃপক্ষ সমস্ত বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি সেই বিশেষ ড্রিল মেশিনটি আসানসোলের যে বেসরকারি সংস্থা সরবরাহ করেছিল তাদের সঙ্গেও সোমবার কথা বলার ব্যবস্থা করে দেয়। বাকিটা কোল ইন্ডিয়া বা কয়লা মন্ত্রক করবেন। ইতিমধ্যে কর্মীরা কাশি পৌঁছে গিয়েছে।
ইতিমধ্যে উত্তরকাশীর নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ১০ দিনের উপর আটকে থাকা শ্রমিকরা এখনও পর্যন্ত আপাতত সুস্থ আছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই ৬ ইঞ্চি ডায়ামিটারের একটি পাইপ সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়েছিল। সেই পাইপ দিয়ে রাতে বোতলে গরম খিচুড়ি ভরে শ্রমিকদের পাঠানো হয়। এছাড়াও সেই একই পাইপ দিয়ে ওয়াকিটকি, ফোন চার্জারের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে একটি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরাতেই ভিডিয়ো সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে শ্রমিকরা যেখানে আটকে রয়েছে সেখান পর্যন্ত পাঁচটি আলাদা পথ তৈরি করা হচ্ছে। ২টি পথের ড্রিলিংয়ের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রাজ্য প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল অনবরত এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।