হঠাৎই ড্রোন-অপারেশনে নামল বিশ্ববিদ্যালয়! উপর থেকে ছড়িয়ে দিল…BCKV utilising drone technology to save coconut trees from attack of pests


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার কৃষিতেও ড্রোন-হামলা। না ঠিক ‘হামলা’ নয়। ‘হামলা’ শব্দটার একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। নারিকেল গাছের ফলনবৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে এবার নারিকেল গাছের পরিচর্যার জন্য আকাশপথে কীটনাশক ছড়ানো হল ড্রোন ব্যবহার করে। বিষয়টি শুরু করল নদিয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। নানা দিক থেকেই বাংলার কৃষিতে মোটামুটি নতুন একটা বিষয় এটি।

আরও পড়ুন: Malbazar: ফের ট্রেনচালকের তৎপরতায় বাঁচল দাঁতাল! হাতি বাঁচানোয় হাফসেঞ্চুরি রেলের…

নারিকেল অত্যন্ত লাভজনক ফসল। ডাব থেকে শুরু করে নারকেলের দাম রয়েছে যথেষ্টই। ভালো ফলন হলে এবং তা ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় বেচতে পারলে ভালো লাভও হয়। তবে ইদানীং রোগপোকার আক্রমণে ব্যাহত হয় এর চাষ। কেননা, রোগপোকার আক্রমণে পড়েছে জানলেও নারিকেল গাছের পরিচর্যা করা কঠিন। তাই হালে নারিকেল চাষে অনীহা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা। কারণ নারিকেল গাছে রোগপোকার আক্রমণ ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না সাধারণ চাষি। সেই প্রযুক্তি তাঁদের নেই। ফলে, তাঁদের প্রচুর ক্ষতি হয়ে যায়।

গত কয়েক বছরে নারকেল গাছের মড়ক লেগে গিয়েছিল পোকামাকড়ের আক্রমণে। যেহেতু লম্বা গাছ, তাই এ গাছের পরিচর্যার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। সাধারণত পোকামাকড় লাগলে ওষুধ স্প্রে করাই বিধি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা করা কঠিন। তবে এবার সেই কঠিন কাজটি সহজ হতে চলেছে। এবার নারিকেলচাষে গতি আনতে ড্রোন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হল। ড্রোনের সাহায্যে কীটনাশক ছড়ানোর পরীক্ষামূলক ব্যবস্থার সূচনা করল নদীয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

যদিও ভারতে অনেক জায়গাতেই কৃষিকাজে ড্রোন প্রযুক্তি সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। বেশ জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে তা। এবার তা এ রাজ্যেও হল। ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া নারিকেল চাষিদের কথা মাথায় রেখেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

পুকুরপাড় থেকে শুরু করে যে কোনও খোলা জায়গা– সর্বত্রই লাগানো যায় এই গাছ। বছরের পর বছর নির্বিবাদে ফল দেয় এই গাছ। নারকেল গাছের পাতায় এক বিশেষ ধরনের পোকার আক্রমণ ঘটে। এর ফলে গাছগুলি মরে যায়। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত স্প্রে মেশিন নিয়ে গাছে উঠে পোকা-আক্রান্ত পাতায় স্প্রে করা হয়। তবে তা যেমন ব্যয়সাধ্য, তেমনই ঝুঁকির। সেদিক থেকে ড্রোন অনেকটাই কার্যকরী হবে বলে মনে করেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম সাহা।

আরও পড়ুন: Malbazar: হাতি এসে ভেঙে দিল মাজারের দেওয়াল, খেয়ে গেল জমির ধান…

পাশাপাশি চাষবাসের ক্ষেত্রে শ্রমিকের সমস্যাও রয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমে ড্রোন ব্যবহার করলে সেই সমস্যারও সমাধান করা যাবে। আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হতে পারবেন চাষিরা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *