পুরসভা সূত্রে খবর, গত সাতদিনে দক্ষিণ দমদমে ৬০ জনের ডেঙ্গি পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে পুর-হাসপাতালে ১২ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ দমদমে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। পুরকর্তারা রোগের বাড়বাড়ন্তের জন্যে মূলত তিনটি বিষয়কে দায়ী করছেন।
এর মধ্যে অন্যতম, পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডজুড়ে বছরভর নির্মাণকাজ। গর্ত খোঁড়া, তাতে জল এবং আবর্জনা জমেই মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। পাশাপাশি, এই পুরসভার নিকাশি মূলত নির্ভর করে বাগজোলা খালের উপরে। এই খালের আশপাশে বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের জঞ্জাল (প্লাস্টিকের প্যাকেট, কন্টেনার) ফেলায় অল্প বৃষ্টিতে জল জমছে। পাশাপাশি, বাসিন্দাদের একাংশের বাড়ির ছাদে অব্যবহৃত টব, ফ্রিজের ট্রেতে জল জমিয়ে রাখার প্রবণতাকেও দায়ী করছে পুরসভা।
যদিও জপুরের বাসিন্দা অমিতাভ চৌধুরী মনে করেন, ‘এলাকা সাফাইয়ের ক্ষেত্রে পুরসভার খামতি রোগের বাড়বাড়ন্তের বড় কারণ।’ পূর্ব সিঁথির বাসিন্দা বিপুল দত্তের অভিযোগ, ‘যে প্রোমোটারেরা জল জমিয়ে রাখছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলেই এই পরিস্থিতি। রাস্তাঘাটে আবর্জনা দেখেই বোঝা যায় পুরসভার কাজের অবস্থা।
‘ জমা জলের খোঁজে যে ভাবে অভিযান চালানো উচিত, তা ঠিক ভাবে না হওয়ার কারণেই মশার উৎপাত বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। রোগের প্রকোপ বাড়ার পরেও নির্মীয়মাণ আবাসন এবং খালের চারপাশে পুর-কর্তৃপক্ষ সে ভাবে নজর না দেওয়ার কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে দাবি এলাকার সিপিএম নেতা পলাশ দাসের। পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাসের অবশ্য দাবি, ‘আমাদের তরফে সবরকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের অসহযোগিতার কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।’