প্রশাসনের সমস্ত নিয়ম মেনে সন্ধ্যা ছটার পর থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে থাকা ৬২টি পুজো কমিটি শোভাযাত্রা শুরু হল । আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মিকিমাউস, কাঠবিড়ালি, গণেশ সহ বিভিন্ন ধরনের চরিত্র। বিবিরহাট চড়কতলা সর্বজনীন আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে ফুল সহ ছোটদের খেলার বিভিন্ন জিনিস।
উত্তরাঞ্চল আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন একটি গাড়ি সহ বিভিন্ন জিনিস। বড়বাজার সার্বজনীন আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে পাখি ঘট সহ ছোটদের খেলনার বিভিন্ন জিনিস। প্রতিটা পুজো উদ্যোক্তারাই তাদের প্রতিমা, আলোর ট্যাবলো নিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে চলেছে নিরঞ্জনের উদ্দেশে।

চন্দননগরের আলো
চন্দননগর রানীঘাটে নিরঞ্জন পর্বে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।ড্রোনেও চলছে কড়া নজরদারি। এর পাশাপাশি জলপথে স্পিড বোট নিয়েও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নজর রাখছে। চন্দননগরের আলোকসজ্জা জগৎ বিখ্যাত। শোভাযাত্রায় সেই আলো দেখতে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ।

চন্দননগর লাইটিং
অন্যদিকে, এদিন সকালে সুভাষ পল্লী উত্তরপাড়া সার্বজনীনের জগদ্ধাত্রী কাঁধে করে রেল লাইন পার করে বিসর্জনে নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ এবারও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হল। চন্দননগর স্টেশনের পশ্চিমপারে সুভাষ পল্লী উত্তরপাড়া।এই সার্বজনীন পুজোর প্রতিমা আগে রেল লাইনের তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। জগদ্ধাত্রী প্রতিমার চেহারা বড়সড় হওয়ায় ঠিকমত নিয়ে যেতে সমস্যা হত।বারোয়ারী সদস্যরা ঠিক করেন প্রতিমা কাঁধে করে রেল লাইন পার করে নিয়ে যাওয়া হবে।
সেই মত কয়েক বছর আগে শুরু হয় এই রেওয়াজ।এদিন সকাল এগারোটা থেকে চল্লিশ মিনিট ধরে রেল লাইন পার করা হয় জগদ্ধাত্রী। সুবিশাল প্রতিমা কাঁধে নিতে বাঁশের মাচা করা হয়। শতাধিক সদস্য কাঁধে করেই রেল লাইন পার করে প্রতিমা নিরঞ্জনে নিয়ে যান।শেওড়াফুলি জিআরপি র ওসি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেন। ওই সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে। এই ভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনে নিয়ে যাওয়া দেখতে ভিড় জমে রেল লাইনের দুুই পাশে।