Kolkata PG Hospital : পিজিতে মিলল না বেড, চাঁপাডাঙার নার্সিংহোমে সুস্থ রোগী – hooghly youth underwent surgery for free in hooghly


এই সময়, তারকেশ্বর: খেলতে গিয়ে দোলনা থেকে পড়ে গিয়েছিল বছর এগারোর কিশোর। শিরদাঁড়ায় চোট পায় সে। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের কথা বলা হয়। না হলে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে ছেলেটি। কলকাতার পিজিতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পিজিতে নিয়ে গেলে বেড নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এক রাত খোলা আকাশের নীচে কাটিয়েও বেড মেলেনি। দিশেহারা মা ছেলেকে শেষমেশ এলাকারই নার্সিংহোমে নিয়ে আসেন। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বিনা টাকায় ছেলেটির অস্ত্রোপচার করেন। এখন ছেলেটি সুস্থ আছে। তারকেশ্বরের ঘটনা।

জাঙ্গিপাড়া থানার বোমানগরের বাসিন্দা ছবি কর্মকার ও তাপস কর্মকার। গত ১৪ নভেম্বর তাঁদের ছেলে রুদ্র খেলতে গিয়ে দোলনা থেকে পড়ে গিয়ে শিরদাঁড়ায় চোট পায়। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে বাড়ির লোকজন জাঙ্গিপাড়া হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় সিঙ্গুর হাসপাতালে। এর পর শ্রীরামপুর ওয়ালশে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কোনও নিউরো সার্জেন না থাকায় তাকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখান থেকেও অসুস্থ কিশোরকে পিজিতে রেফার করা হয়।

রুদ্রর মা ছবি জানান, ছেলেকে নিয়ে পিজিতে গেলে কর্তৃপক্ষ বেড নেই বলে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘পিজি থেকে ছেলেকে এনআরএস হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু আমরা আর এনআরএসে যাইনি। আমার এক আত্মীয়ের কথায় সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে চলে আসি তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার একটি ছোট নার্সিংহোমে। সেখানে চার জনের চিকিৎসকের দল একটি টিম গঠন করে শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচার করেন। ছেলে এখন সুস্থ আছে।’ ছবির অভিযোগ, ‘আমার সামনে অনেকেই টাকা দিয়ে বেডের কথা বলছিলেন। কিন্তু আমার স্বামী ও আমি দিনমজুরের কাজ করি। এত টাকা কোথায় পাব? নার্সিংহোম আমার থেকে কোনও টাকা নেয়নি। এমনকী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও দেখতে চায়নি নার্সিংহোম।’

নার্সিংহোমের চিকিৎসক দলের এক সদস্য শীর্ষেন্দু খেটো বলেন, ‘রুদ্র আঘাত পাওয়ার পাঁচ দিন পর আমাদের এখানে ভর্তি হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। আমরা তড়িঘড়ি একটা চিকিৎসকের টিম গঠন করে অস্ত্রোপচার করি। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় খুব ভালো লাগছে।’ সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাব না দালালরাজ নিয়ে বহুবার অভিযোগ উঠেছে। দিন দুই আগে সরকারি হাসপাতালে বেড না পেয়ে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছিল হরিপালের এক যুবকের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *