NRS Medical College : এনআরএসে মহিলা চিকিৎসকদের কটূক্তি, ধৃত ৩ শ্রমিক – police arrested three workers on charges of insulting and beating 5 women doctors in nrs


এই সময়: এনআরএসে ৫ মহিলা চিকিৎসককে কটূক্তি, মারধর করার অভিযোগে তিনজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। জানা গিয়েছে, ছুটির পরে মঙ্গলবার রাতে এনআরএস হাসপাতালের নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের দিকে হাঁটতে গিয়েছিলেন ওই ৫ ইন্টার্ন চিকিৎসক। বিল্ডিংয়ের পাশের একটি ঘরে থাকা শ্রমিকরা ওই পাঁচজন কেন রাতে ঘোরাঘুরি করছেন, তা জানতে চান। উত্তরে নিজেদের পরিচয় দেন ওই চিকিৎসকরা। অভিযোগ, এরপরেও তাঁদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করতে থাকেন কয়েকজন শ্রমিক। প্রতিবাদ করলে মারধরও করা হয়। পুরো ঘটনা জানিয়ে রাতেই এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক চিকিৎসক। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, খোদ হাসপাতালের মধ্যেই এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই চত্বরে আরও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত। কারণ, মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে নতুন বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলে। ফলে, বাইরের অনেক লোক এসে থাকেন। তাছাড়া, অনেক রোগীর আত্মীয় হাসপাতালে রাত কাটান। মঙ্গলবার রাতে নিগৃহীত এক ইন্টার্ন বুধবার বলেন,’হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেও পরিচয় দিতে হচ্ছে এটা সত্যিই দুঃখজনক। এমন ঘটনার শিকার যেন আরও কেউ না হয়।’ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলছেন নিগ্রহের শিকার হওয়া চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘যে ঘটনা মঙ্গলবার রাতে হয়েছে তা কোনওভাবেই কাম্য নয়। পুলিশের পাশাপাশি হাসপাতালের রক্ষীরাও নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে। পুলিশকেও আমরা বলেছি, চারিদিকে নজরদারি আরও বাড়াতে।’ অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সবসময়েই মোতায়েন থাকে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম, অভিজিৎ ঘোষ, প্রসেনজিৎ ঘোষ এবং পূর্ণেন্দু বিশ্বাস। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতরা অবশ্য জেরার মুখে দাবি করেছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা প্রথম মারধর শুরু করে। যদিও সিসিটিভিতে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *