কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সমাবেশে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘ভাবছেন কেষ্ট জেলে, পার্থ জেলে, আমাদের আরও কয়েকজন জেলে রয়েছেন। আমাদের মানিক ভট্টাচার্য জেলে, অনেকে জেলে, বালু জেলে। এটাই চলবে?’ এরপরেই বিজেপি আগামী দিনে ক্ষমতাচ্যুত হবে বলে দাবি করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘আগামীদিনে যখন আপনারা চেয়ারে থাকবেন না, তখন কোথায় থাকবেন, সেলে? না কোলে?’ বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এরপর মমতার বক্তব্য, ‘আমাদের ৪ জনকে যদি জেলে রাখে, আমার দলের পক্ষ থেকে ওদের ৮ জনকে জেলে ভরব।’
কী বললেন শুভেন্দু?
শুভেন্দু পালটা এদিন বলেন, ‘আমি ওঁর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করব। বিচার ব্যবস্থার সামনে আমি বলব, এই রাজ্যের সরকার কার হাতে আছে। ওঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হেয়ার স্ট্রিট থানার অধীনে। তাই ওই থানায় আমি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করব।’
অন্যদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপে হার নিয়েও এদিন মন্তব্য করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গুজরাটের স্টেডিয়ামে খেলা না হয়ে মুম্বাই বা কলকাতার মাঠে খেলা হলে ভারত খেলায় জিততে পারত বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি, একাধিক খেলায় ভারতীয় টিমের জার্সির রং গেরুয়া করে দেওয়া হচ্ছে বলেই এদিন বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই পালটা এদিন শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘ছিঃ! এগুলি রাষ্ট্রবিরোধী কথা। এই কথার বিরুদ্ধে UAPA আইনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করা উচিত।’ বলে জানান বিজেপি বিধায়ক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জয়নগরের দোলুয়াখাকি গ্রামে যান শুভেন্দু অধিকারী। দোলুয়াখাকিতে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের হাতে এদিন ত্রাণ ও আর্থিক সাহায্য তুলে দেন বিরোধী দলনেতা। দোলুয়াখাকির বিষয়ে শুভেন্দু জানান, তৃণমূল করে না বলে এদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে ও পোড়ানো হয়েছে। যে তৃণমুল নেতা খুন হয়েছেন তিনি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই খুন হয়েছেন। কিন্তু এই গ্রামে ‘পরিকল্পনা’ করে বাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট না দিলে উনি মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। সেই মুসলমানদের বাড়ি পোড়াচ্ছেন। দিল্লী যাওয়ার আগে জয়নগর ঘুরে যান বলে দাবি করেন তিনি।