Dakshin 24 pargana : খাবার কেনা ‘অপরাধ’, নাপিত ডেকে বধূর মাথা ন্যাড়া করাল শাশুড়ি-ননদ! তোলপাড় কাকদ্বীপ – dakshin 24 pargana kakdwip housewife allegedly assaulted by her family members


ছেলের খাবার ও সংসারের কিছু জিনিস কেনার প্রয়োজনে বাড়ির আলমারি থেকে টাকা নিয়েছিলেন এক গৄহবধু ৷ সেই অপরাধে কেটে দেওয়া হল তার মাথার চুল। ফের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপ বিধানসভা এলাকায় ৷ এই ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিযেছে, বাড়ির টাকা চুরি করার অপরাধে রীতিমত বাড়িতে নাপিত ডেকে তাঁর চুল কেটে দেওয়া হয় ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও স্থানীয় সুত্রে খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন ৷ ঘটনায় বধূর দুই ননদ ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।

কী ঘটনা?

কাকদ্বীপ বিধানসভা এলাকার নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজরাজেশ্বরপুর এলাকায় শ্বশুড়বাড়ি নির্যাতিতা গৃহবধূর। নির্যাতিতা গৄহবধুর নাম আরতি মণ্ডল৷ বছর দেড়ের আগে তাঁর বিয়ে হয় বিপ্লব মণ্ডলের সঙ্গে ৷ তাঁদের ছয় মাসের একটি ছেলেও রয়েছে ৷ কর্মসুত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন বিপ্লব ৷ শ্বশুরবাড়িতে ছয় মাসের ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন আক্রান্ত গৄহবধূ ৷

বাড়িরই কিছু জিনিস কেনার প্রয়োজন ছিল ৷ বারবার বাড়ির সবার কাছে টাকা চেয়েও পাচ্ছিলেন না তিনি ৷ সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে তাই নিজেই আলমারি থেকে টাকা বের করে নেন৷ স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, টাকা বের করে নেওয়ার পর আলামারি খুলে তাঁর শাশুড়ির নজরে পড়ে বিষয়টি। তারপরেই শুরু হয় নির্যাতন ৷ গৄহবধুকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ৷ মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে গাছেও বেঁধে রাখা হয় ৷ প্রতিবেশীরা জানতে পেরে বিষয়টি পুলিশকে জানান৷

Amdanga News : আমডাঙাতেও জয়নগরের ছায়া! শাসক নেতা খুনে অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ
ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা

এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শাশুড়ি দু্র্গা মণ্ডল ও বধূর দুই ননদ পিয়ালি ও পল্লবী মণ্ডল প্রায়ই অত্যাচার চালাত। এমনকী মারধর করা হত বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা এক মহিলা বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আরতির উপর অত্যাচার চালায় ওঁর পরিবারের সদস্যরা। স্বামী কাজের কারণে বাইরে থাকে, সেই কারণে অত্যাচার চালানো হত। মাঝেমধ্যেই মারধর করা হত। আমরা স্থানীয়রা জানতাম। কিন্তু এবার একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে পুলিশকে খবর দিতে বাধ্য হই আমরা। দোষীদের শাস্তি চাই। আমাদের এই একটাই দাবি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *