স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫,০৯৩ জন। দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে অনেকটাই- ৩,৪৯৫। আর চলতি মরসুমে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৩ হাজার। বরাবরে মতো এখনও সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যে পয়লা নম্বরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (১৯,০৪৬)। শেষ সাতদিনে সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০০ জন। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে কলকাতা। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মহানগরে চলতি বছরে মোট ১৩,২০৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে শেষ সপ্তাহে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৮৫ জন।
কলকাতার ছবিটাই ডেঙ্গির নিম্নমুখী গ্রাফ বোঝার জন্য যথেষ্ট বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তারা। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যেখানে কলকাতায় ডেঙ্গি পজ়িটিভিটি রেট ছিল ৭.১৩ শতাংশ, সেখানে তা দ্বিতীয় সপ্তাহে কমে দাঁড়ায় ৫.৫৮ শতাংশে। একই ছবি লাগোয়া বিধাননগর পুর এলাকাতেও। সেখানেও ৫.৫৬ শতাংশ থেকে পজ়িটিভিটি রেট এক সপ্তাহেই কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৭ শতাংশে। বস্তুত অক্টোবরের গোড়া থেকেই কলকাতায় ধীরে হলেও লাগাতার ও ধারাবাহিক ভাবে সাপ্তাহিক ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা কমছিল। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের (১৩৬৭) তুলনায় এখন তা অর্ধেকে (৬৮৫) এসে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার পরেই বর্তমানে সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ (১০,৯০৪)। অক্টোবরেও সেখানে প্রতি সপ্তাহে হাজারখানে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সেখানে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫০ জন। তাই সেখানেও পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ১৫ নভেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে হুগলি (৭,৩৮৫), নদিয়া (৬,১৯৬) ও হাওড়া (৫,৪২২)। সপ্তম, অষ্টম ও নবম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মালদহ (৪,১৫৭), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩,৯৩৭) ও পশ্চিম মেদিনীপুর (২,৪৫২)।