জানা গিয়েছে, হাওড়ার লিলুলায় অবস্থিত এই বেআইনি নির্মাণ ভাঙা রুখতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছেন ওই সম্পত্তির মালিক। আগামী মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর মামলার শুনানি। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা গৃহীত হওয়ার পর আইনজীবীরা আবেদন করেন মামলা না শোনা অবধি যেন ভাঙার কাজ শুরু না হয়। সেই কারণে এদিন ভাঙার কাজ স্থগিত। যদিও আইনজীবীদের তরফে খোলসা করা হয়েছে এটা কোনও স্থগিতাদেশ নয়।
জটিলতা লিলুয়ার ২৯৫ স্কোয়ার মিটারের নির্মাণ নিয়ে। সেই অংশটুকুই ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, কোনও বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। হাওড়ায় আমার বাড়িও আছে। সেটাও যদি কোনও দিন বেআইনি বেরোয়, তাহলে তাঁকেও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। গতকালই লিলুয়ার এই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন লিলুয়ার রবীন্দ্র সরণীর ধীরেন্দ্র অ্যাপার্টমেন্টের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার। সেই মতো গতকাল রাতেই বালি মিউনিসিপ্যালিটির পক্ষ থেকে আবাসনে নোটিশ দেওয়া হয়। যে নোটিশে স্পষ্ট তো উল্লেখ সকাল নটার মধ্যে সমস্ত আবাসিকরা যেন আবাসন খালি করে দেয়। পাশাপাশি কালই লিলুয়া থানার পক্ষ থেকেও এই একই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল আবাসনের প্রত্যেক আবাসিককে। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ সমস্ত প্রস্তুতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত শুরু হয়নি ভাঙার কাজ। ঘটনাস্থলে প্রস্তত হয়েই পৌঁছায় বালি পুরসভার লোকজন।
প্রথমে আবাসিকরা দাবি করেন তাদের কাছে আদালতের তরফে কোনও নির্দিষ্ট বার্তা পাননি। তাদের পক্ষের আইনজীবীও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সম্পূর্ণ ঘটনার বিবেচনার উদ্দেশ্যের আরজি নিয়ে। অন্যদিকে এমত অবস্থায় পুরসভার পক্ষ থেকে ভাঙার কাজ করতে হলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হবে বলেই জানায় আবাসিকরা। এই বাদানুবাদের মধ্যেই খবর আসে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের মামলা গ্রহণ করেছে। আপাতত মঙ্গলবার পর্যন্ত ভাঙা পড়ছে না বাড়ি।