Nadia News : শিক্ষিকাদের গা-হাত পা টিপে দেয় পড়ুয়ারা! রাজ্যের স্কুলে তুলকালাম, বিক্ষোভ অভিভাবকদের – nadia shantipur school teachers allegedly using school student for school cleaning work


শুক্রের সকালে স্কুলে তালা ঝোলালেন অভিভাবকরা। তুমুল বিক্ষোভে কেঁপে উঠছে চারপাশ। তুলকালাম নদিয়া জেলার শান্তিপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তখনই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এই ঘটনা তোলপাড় নদিয়ার শান্তিপুরের বাবলা পঞ্চায়েতের প্রমোদনগর গোবিন্দপুর প্রথম দাস গুপ্ত স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকাবাসী।

কী অভিযোগ অভিভাবকদের?

স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে শিক্ষকদের গা-হাত-পা টেপানো হয়। এমনকী শিক্ষিকাদের মাথার উকুন বেছে দিতে হয় বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের অভিভাবকদের। এমনকী স্কুল থেকে পড়ুয়াদের পুষ্টিকর মিড-ডে মিল দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ পরিবারের। সেই কারণে স্কুলের গেটে তালা মেরে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

দীর্ঘ পুজোর ছুটি কাটালেও, এখনও পড়ুয়াদের পড়াতে আগ্রহী নন শিক্ষকরা। স্কুলে এসে তাঁরা সর্বক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। সেই কারণে দুই শিক্ষককে আটকে রেখে বিদ্যালয়ের দরজায় তালা মেরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, এই প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ জন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। তাঁরা অনিয়মিতভাবে স্কুলে আসেন।

Paschim Medinipur News : প্রেমে ‘ধোকা’! মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার্থীর থেকে ‘শোধ’ তুলল গড়বেতার যুবক
অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, প্রমোদনগর গোবিন্দপুর প্রথম দাস গুপ্ত স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুষ্টিকর কোনও খাবার শিশুদেরকে দেওয়া হয় না। মিড ডে মিলে দেওয়া হয় আলু সেদ্ধ ভাত, এবং ডাল। অভিভাবকরা জানিয়েছে, পড়ুয়াদের দিতে গা হাত-পা টেপানো, উকুন বেছে দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয় ভবন পরিষ্কারের কাজও করানো হয়। এই সমস্ত অভিযোগ তুলে আজ স্কুলে শিক্ষকরা এলে তাঁদেরকে তালা বন্ধ করে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী সহ অভিভাবকরা। সেই সময় প্রধান শিক্ষিকার ছেলে ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভরত অভিভাবকদের হুমকি দিতে থাকে। ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে যায়। অভিভাবকরা মারমুখী হয়ে উঠতে এলাকা ছে্ড়ে পালিয়ে যান প্রধান শিক্ষিকার ছেলে।

স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব

পরিকাঠামোর অভাব স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি। এই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যও সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই স্কুলে বেশ কিছু পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে একথা ঠিক। তবে শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের এমন আচরণের কথা জানা ছিল না। আমরা বিষয়টি প্রশসানের যথাযথ স্থানে জানাব।’

অন্যদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা দত্ত বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই বিদ্যালয়ে প্রতিদিনই নিয়মিত পঠন পাঠন হয়। বিদ্যালয়ে ৬১ জন ছাত্রছাত্রীই প্রতিদিনের মিড ডে মিলের খাবার পায়। তবে সব দিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় না এটা ঠিক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *