কী জানা যাচ্ছে?
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সমাবেশ থেকে দলনেত্রী আগেই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীদের উদ্দেশে। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ৪ জনের বদলে ৮ জনকে জেলে ঢোকাবেন। এবার সেই সুরেই কার্যত সুর মেলালেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘বদল নয় এবার বদলা চাইবো’।
কী বললেন বিধায়ক?
সিপিএমের ইনসাফ যাত্রার পাল্টা হিসাবে শুক্রবার ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে ভাতারের বলগোনা বাজার থেকে ভাতার বাজার পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানগোবিন্দ অধিকারী বিরোধীদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সেদিন বলে দিয়েছেন, আমাদের চারজনকে জেলে ঢোকালে, আমরা আটজনকে ঢোকাবো। উনি আগে বলেছিলেন বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু এবার বদলা চাইব।’
এরপরেই বিধায়ক জানান, তোমরা কি করেছো সেটা তো আমরা জানি। এখনকার ১৯ বছরের যুবকরা জানে না তোমরা কি করেছো। কিন্ত আমরা জানি, সেই হিসাব আমরা চাই। এরপরেই তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সেদিন বলে দিয়েছেন, আমাদের চারজনকে ঢুকিয়েছে, আমরা আটজনকে ঢোকাবো। আগে বলেছিল বদলা নয় বদল চাই, কিন্তু এবার বদলা চাইবো।’
সিপিএমকে নিশানা
একই সঙ্গে সিপিএমের ইনসাফ যাত্রা প্রসঙ্গে ভাতারের বাম আমলে দুটি ঘটনার কথা তুলে তিনি জানান, ২০১০ এর ১০ই জানুয়ারি বনপাস স্কুলের কাছে টোটন মল্লিককে মারা হয়েছিল বোম মেরে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সে নিজের বোমা নিক্ষেপ নিজে মারা গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের ৩০ শে জানুয়ারি তেঁতুলতলায় আমাকে গুলি করা হয়েছিল, তখন পুলিশগুলিটাকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম গুলিটা কি হল, যেটা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন? তিনি বলেছিলেন বড় সাহেবের নির্দেশে গুলিটা দেখায়নি। ইনসাফ তো আমরা চাই, তোমরা কি চাইবে?’
বিরোধীরা কী বলছেন?
পালটা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘বদলার রাজনীতি, স্বৈরাচারী রাজনীতি নিয়ে চলছে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে বামেদের পাশে লোক দেখে তাঁরা আতঙ্কিত।’ তাঁর কথায়, ১২ বছর ধরে ইনসাফ চাইতে পারলো না,এখন বলছে ইনসাফ চাই।কিসের ইনসাফ?কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে এক ডজন কমিশন করেও বামেদের গায়ে এতটুকু কালি লাগাতে পারে নি।