কী জানা যাচ্ছে?
বড়বাজারের কটন স্ট্রিটে একটি শাড়ির দোকানে আগুন লেগে যায় বলে খবর। ওই কারখানায় বেশ কিছু কর্মী কাজ করছিলেন বলে খবর। আগুন জ্বলতে দেখেই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে চারটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। জানা যায়, পাঁচ তলার একটি গোডাউনে আগুন লেগে যায়।
কী জানাচ্ছে দমকল
দমকল এসে ভেতরে কেউ আটকে গিয়েছে কিনা দেখা হয়। ভেতরের কর্মীদের বার করে আনা হয়। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় আশেপাশে প্রচুর দোকান এবং গোডাউন রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই, আগুন ছড়িয়ে গেল বড়সড় বিপর্যয় হতে পারে। দমকলের কর্মীরা জানান, পুরো গোডাউনের একাংশ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, যে এলাকায় আগুন লেগেছে, সেই জায়গাটি কিছুটা সংকীর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই, দমকলকে কাজ করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গোটা এলাকায় অতি দাহ্য পদার্থ রয়েছে। ওই এলাকায় একাধিক দোকানপাট, গোডাউন রয়েছে। সেখানে একাধিক দোকান, গোডাউনে রয়েছে শাড়ি, কাপড়ের মতো দাহ্য পদার্থ । আগুন ছড়ালে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত।
দোকানের মালিক কী বলছেন?
দোকানের মালিক হরিশ কুমার আগরওয়াল জানান, ওই দোকান সিল করা ছিল। ব্যাঙ্কে ঋণ বাকি থাকার কারণে ওই দোকান ও গোডাউন সিল করে দেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কের তরফে। যে কারণে দোকানের কাছে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা থাকলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা বেগ পেতে হয় দমকলকে। প্রায় দুঘণ্টা সময় কেটে গেলেও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে শেষ মুহূর্তের খবর।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও বড়বাজারের কটন স্ট্রিটেই আগুন লেগেছিল। বড়বাজারের ৪৬, কটন স্ট্রিটে একটি জামা-কাপড়ের দোকানে বিধ্বংসী আগুন লাগে। গত জুন মাসে এরকমই একটি শাড়ির গোডাউনে আগুন লাগে। রাতের বেলায় আগুন লাগার কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। একাধিকবার এই জায়গায় আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাটিতে বেশিরভাগ ব্যবসায়িক বিভিন্ন দোকান, গোডাউন থাকায় যথেষ্ট ঘিঞ্জি বলেই দাবি করছেন স্থানীয়রা। যে কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে বারবার।