কী জানা যাচ্ছে?
ডিপফেকের ভয় দেখিয়ে সাইবার প্রতারনার শিকার মানকুন্ডুর তরুণী। টাকা দিয়েও মেলেনি রেহাই। ফোনে লাগাতার হুমকি আসছে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন ওই তরুণী। সম্প্রতি অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ছবি নিয়ে সরব হয়েছেন গোটা বলিউড। ডিপ ফেক ভিডিয়ো নিয়ে এবার আমজনতারও মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজনের শরীরে অন্যের মুখ বসিয়ে দিয়ে চলছে ব্ল্যাকমেল। আর এই ডিপফেকের ভয় দেখিয়ে সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন মানকুণ্ডুর এক তরুণী।
কী ভাবে ফাঁসলেন তরুণী?
তরুণীর এক সহকর্মি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল খেলা দেখছিলেন তরুণী তার মোবাইলে। হঠাৎ ই একটা ফ্ল্যাশ মেসেজ ভেসে ওঠে। সেটা ওপেন করতেই একটা অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে যায়। এরপর অ্যাকসেস নোটিফিকেশনে। মোবাইল নম্বর দেন তরুণী। তার অ্যাকাউন্টে এগারো হাজার টাকা পাঠানো হয় লোন হিসাবে। দু’দিন পর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করা। টাকার জন্য চাপ। টাকা না দিলে ডিপফেক করা অশ্লীল ছবি ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পেতে থাকেন তিনি। এমনকি, তরুণীর কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা অনেককেই ডিপফেক ছবি পাঠানো শুরু হতেই ভয় পেয়ে যান তরুণী। ১৯ হাজার টাকা অনলাইন পেমেন্ট করে দেন। টাকা পাওয়ার লোভে আবারও হ্যাকাররা যোগাযোগ করেন ওই তরুণীর সঙ্গে। এরপর লাগাতার টাকা চেয়ে ফোন আসতে থাকে। লাগাতার প্রতারণা শিকার হয়ে স্বাভাবিকভাবেই অবসাদগ্রস্থ হয়ে পরেন ওই তরুণী।
থানায় অভিযোগ দায়ের
আজ তরুণীকে নিয়ে ভদ্রেশ্বর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তাঁর এক আত্মীয়। সেখান থেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানা চুঁচুড়ায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত ওই তরুণী। সাইবার ক্রাইম বিভাগ যাতে দ্রুত ওই হ্যাকারদের চিহ্নিত করে দোষীদের গ্রেফতার করতে পারে সে ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছে তিনি।
পুলিশ কী জানাচ্ছে?
পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাশ মেসেজের মাধ্যমে ফোন ক্লোনিং অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে হ্যকাররা অনেক মানুষকে প্রতারিত করছে। ভয় দেখাতে ডিপফেককে হাতিয়ার করছে। সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে অনেকেই টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। এগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে। এই ধরনের ফোন এলে তা ব্লক করতে হবে। মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে ওঠা ফ্ল্যাশ মেসেজে পাত্তা না দেওয়াই ভালো। কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করলে তাতে পার্সোনাল ডিটেলস দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।