বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষন, অভিমানে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী – a class 8 student allegedly took her life after being tortured by her lover


এই সময়, বহরমপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপহরণের পরে অত্যাচার। অভিমানে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার সকালে কান্দি থানা এলাকায় এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন নিগৃহীতার পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, বছর দেড়েক ধরে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক পাশের খড়গ্রাম থানার এক যুবকের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় প্রেমিক যুবক।

সোনার গয়না, যৌতুকের টাকার প্রসঙ্গ তুলে রাতভর কিশোরীকে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরেই ওই নাবালিকাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। সকাল হতেই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে আসে কিশোরী। এরপর ঘরে ঢুকে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে কান্দি থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত প্রেমিক যুবক-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার।

মৃত কিশোরীর দাদু বলেন, ‘নাতনির সঙ্গে খড়গ্রামের ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর বাইকে এসে নাতনিতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ওর বাবা-মা অপমান করে। পরে ওর উপরে শারীরিক অত্যাচার করে ভোর রাতে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।’ তিনি বলেন, ‘অতটুকু মেয়ে অত্যাচার ও অপমান সহ্য না করতে পেরে এমন কাণ্ড করেছে। আমরা ওদের শাস্তি চাই।’

এক প্রতিবেশী বলেন, ‘ওদের প্রচুর পয়সা। গরিবের মেয়েকে কেন ঘরে তুলবে। বয়স কম বলে বিয়েটা পিছিয়ে দিতে পারত। তাই বলে মারধর, কিশোরীর বাবা-মা তুলে গালিগালাজ, মেনে নেওয়া যায় না।’ মেয়েটি নিজের গায়ে আগুন দেওয়ার পর ওর চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। ঘরের কাঁথা বের করে চেপে ধরি। কিন্তু ততক্ষণে দেহের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *