Justice Dipankar Datta: ‘সৎ-অসৎ বলে বিচারপতিদের লেবেল লাগানো দুর্ভাগ্যজনক’, মন্তব্য বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর – supreme court justice dipankar datta important observation about judiciary system


নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি, নাম জড়িয়েছে হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের। এই মামলাগুলির প্রেক্ষিতে আদালত কী নির্দেশ দেন, তা জানার জন্য সাধারণ মানুষের আগ্রহ সীমাহীন। আদালতের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণের উপর সর্বক্ষণ নজর থাকে সংবাদ মাধ্যমেরও। আর সেই মামলাগুলিতে একাধিক বিচারপতির পর্যবেক্ষণ উঠে আসছে শিরোনামে। এবার বিচারকদের এক সভায় ‘সততা নিয়ে বিচারপতির ঔদ্ধত্য’ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে শোনা গেল কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসপি তালুকদারকে।

শনিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখান উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, প্রাক্তন বিচারপতি এস পি তালুকদারের মতো ব্যক্তিত্বরা।

এদিন বিচারক এবং বিচারপতিদের সততা প্রসঙ্গে উঠে আসে। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, ‘বিচারপতি যে সৎ হবেন তা স্বাভাবিক। কিন্তু, যেভাবে এই বিচারপতি সৎ বা অসৎ বলে লেবেল লাগানো হচ্ছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

এদিন বিচারপতি বদলি প্রসঙ্গেও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন দীপঙ্কর দত্ত। তিনি বলেন, ‘শাস্তি স্বরূপ বদলি করা যায় না। কেউ পছন্দমতো জায়গায় বদলি নিতে পারেন না।’ পাশাপাশি এই রাজ্যে বিচারকদের বদলির ক্ষেত্রে ‘গড ফাদার’ প্রথা জারি রয়েছে, এমনই মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে।

Justice Abhijit Ganguly: লিলুয়ায় আগামীকাল থেকেই বাড়ি ভাঙার নির্দেশ, খড়দা কেসে পুরপ্রধানকে তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এদিকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস পি তালুকদার এদিন বলেন, ‘বিচারপতি সততা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে দিয়েছেন।’ সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তাঁদের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নিজেদের মন্তব্যের মধ্যে তাঁরা কারও নাম নেননি একবারের জন্যও। সম্প্রতি সময়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে আদালতের তরফে। আর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষিতে একাধিক নির্দেশ সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিস্তর প্রভাব বিস্তার করেছে।

শুধু তাই নয়, অনেকে আবার কয়েকজন বিচারপতিকে নিজের আদর্শ বলে জীবনে এগিয়ে যেতে চান, সেই দৃশ্যও উঠে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কয়েকজন বাইকের স্টিকার থেকে শুরু করে বাড়ির মন্দির নির্দিষ্ট কিছু বিচারপতির ছবি লাগিয়ে রেখেছেন, সামনে এসেছিল সেই দৃশ্যও। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, এই ধরনের হাইপ্রোফাইল মামলায় সাধারণ মানুষের নজর স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে। তাঁরা নিজেদের মতো করে বিচার বুদ্ধি দিয়ে ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *