Kalighater Kaku : কালীঘাটের কাকু: এবার ইডির ‘সন্দেহের বাইরে’ নয় এসএসকেএম, এমএসভিপি – special ed court in alipore ordered joka esi hospital to constitute a medical board to find out medical condition of kalighater kaku


এই সময়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে ইডি-র টানাপড়েন অব্যাহত। চিকিৎসকদের অনুমতি না মেলায় তাঁর ভয়েস স্যাম্পেল এখনও নিতে পারেননি ইডি অধিকারিকেরা। এরই মধ্যে সুজয়ের শারীরিক পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক, তা খতিয়ে দেখতে জোকা ইএসআই হাসপাতালকে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের বিশেষ ইডি আদালত। অভিযুক্ত সুস্থ থাকলে ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার প্রক্রিয়াও দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।

গত ২২ অগস্ট থেকে সুজয়কৃষ্ণ এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানকার বেশ কয়েকজন চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েও এবার আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে ইডি। বিশেষ করে হাসপাতালের এমএসভিপি-এর ভূমিকা ‘সন্দেহের বাইরে নয়’ বলে জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ আদালতে ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বিচারকের কাছে আবেদন করেন, অভিযুক্তের শারীরিক পরিস্থিতি কতটা গুরুতর তা জানতে জোকা ইএসআই হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হোক।

ইডি আদালতের কাছে অভিযোগে জানিয়েছে, গত ২৬ অক্টোবর এসএসকেএমে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছিল। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য তথা কার্ডিয়োলজি বিভাগের প্রধান দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে জানিয়েছিলেন, সুজয়কৃষ্ণ স্ট্রেস ফ্রি রয়েছেন এবং ভয়েস স্যাম্পেলও দিতে পারবেন। অনুমতি পেয়ে ওই দিন সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির সদস্যদের নিয়ে ইডি আধিকারিকেরা হাসপাতালে যান।

অভিযোগ, প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মুখে আচমকা এমএসভিপি পীযূষকান্তি রায় এসি-১ নম্বর রুমে চলে আসেন এবং ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া যাবে না বলে আধিকারিকদের জানিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল এখনই নেওয়া যাবে না বলেও ইডি-কে চিঠি দেন তিনি। সে কারণে অভিযুক্তের বয়ান নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইডি দাবি করেছে, অবাক হওয়ার মতো বিষয়, যেখানে এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় ভয়েস স্যাম্পল নেওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন, সেখানে ওই হাসপাতালেরই এমএসভিপি বলছেন, তা নেওয়া যাবে না। তদন্তকারীরা আদালতকে জানিয়েছেন,এসএসকেএম হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের এই ভূমিকা ‘ভেরি সারপ্রাইজিং।’

তবে শুক্রবার বিচারক ইডির আবেদন মঞ্জুর করে নির্দেশ দিয়েছে, শারীরিক পরীক্ষার দিন এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন সুজয়কৃষ্ণকে তদন্তকারী অফিসারের হেফাজতে দেন। ইএসআই হাসপাতালে যাওয়ার সময়ে অ্যাম্বুল্যান্সে এসএসকেএম-র একজন মেডিক্যাল এক্সপার্টকেও রাখা হয়। কলকাতা পুলিশকে সুজয়কৃষ্ণের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে।

যদি তারা না পারে, তাহলে ইডি কেন্দ্রীয় জওয়ানদের সাহায্যও নিতে পারবে। যদি দেখা যায়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরিস্থিতি ভালো এবং তিনি ভয়েস স্যাম্পল দিতে পারবেন, তা হলে ইএসআই হাসপাতালে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া যেতে পারে। ওই দিন সেখানে ফরেন্সিকের লোকেদের হাজির থাকতেও বলা হয়েছে। যদি সে দিন এফএসএল-এর সদস্যরা হাজির থাকতে না পারেন, তা হলে অভিযুক্তকে জোকা ইএসআই হাসপাতালেই ভর্তি রাখতে হবে। ভয়েস স্যাম্পেল দেওয়ার পরে অবশ্য তাঁকে ফের মেডিক্যাল এক্সপার্টদের তত্ত্বাবধানে এসএসকেএম হাসপাতালে ফিরিয়ে দিতে হবে। যদিও এবিষয়ে হাসপাতালের বক্তব্য জানা যায়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *