CAA: ‘ভোটের মুখে পাগলের প্রলাপ’, শান্তনু ঠাকুরের সইয়ে ‘নাগরিকত্ব’ মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ বাম-তৃণমূলের – citizenship amendment act issue kunal ghosh and sujan chakraborty takes a dig on central minister ajay mishra teni on shantanu thakur comment


ভোটের আগে ফের নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে নয়া ঘোষণা বিজেপির। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে রাস উৎসবে যোগদান দিতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ঘোষণায় রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য।

দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, তাঁর আগে মতুয়া বাড়িতে এসে মন্ত্রীর দাবি, নাগরিরত্বের প্রমাণ স্বরূপ আধার কার্ড না থাকলেও কুছ পরোয়া নেই। বনগাঁ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সই করে দেওয়া সঙ্ঘ সদস্যের কার্ডই নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। মতুয়াবাড়ি এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া শোরগোল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির দাবি শুনে কটাক্ষ শাসক দল তৃণমূলের। একই সুর শোনা গেল বামেদের গলাতেও।

২৪ দামামা বাজতে না বাজতেই ফের রাজনীতির ময়দানে উঠে এল CAA বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে রাস উৎসবে যোগ দিতে এসে নাগরিকত্ব তাসকেই হাতিয়ার করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অজয় মিশ্রের দাবি, যেসব মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ২০১৪ সালের আগে এদেশে যারা এসেছেন তাদের কোনও ভয় নেই। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতির দেওয়া কার্ডে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সই থাকলেই দেশের যেকোনও জায়গায় যাওয়া যাবে। ওটাই নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হবে।

কেন্ত্রীয় মন্ত্রীর এমন দাবিতে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, ‘এটা তো কাজের কথা হল না। যাদের ভোটার লিস্টে নাম আছে, যারা ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করেন, তারা তো নাগরিকই। এমন কোন কাগজ আছে যা প্রধানমন্ত্রী কাছে বাড়তি আছে আমাদের কাছে নেই? ভোটের আগে রুটি কাপড়া ও মকান থেকে নজর ঘোরাতেই এমন বাজার গরম করা কথাবার্তা। শান্তনু ঠাকুর সই আবার কী! ভোটের আগে সম্পূর্ণ পাগলের প্রলাপ।’

Matua Community : ‘শীঘ্রই CAA চালু হবে…’, ঠাকুরবাড়ি এসে মতুয়াদের নতুন আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

এই বিষয়ে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও শোনা গেল একই সুর। তিনি বলেন, ‘এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মতুয়া বাড়িতে এসে ফের নাগরিকত্ব আইনের কথা বলছেন। পাঁচ বছরে সময় হল না! এখন আবার ভোট এসেছে, তাই বলছেন। অসমের বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী। বিহারের বিজেপি উদ্বাস্তু বিরোধী। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি তার বিরুদ্ধাচরণ করবে তা হয় নাকি? ২০১৯ সালে তারা ভোটের আগে এই ইস্যু তুলে ছিল। বুঝেছে মানুষ পছন্দ করছে না। এখন তাই নয়া অবতারে পেশ করছে। এখন ভোট আসতেই একেক দিন একেক অভিনব কথা বলছে। পাঁচ বছরে সময় হল না এখন এসে মতুয়াবাড়িতে বলছে। মতুয়া হোক বা যেই হোক, তারা আমাদের নাগরিক। এভাবে নাগরিকত্ব কাড়া যাবে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *