Dooars : ট্রেনের ধাক্কায় শাবক সহ ৩ হাতির মৃত্যু ডুয়ার্সে, রেলের নয়া প্রযুক্তি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন – three elephants expired at dooars collided with goods train at alipurduar


ফের ট্রেনের ধাক্কায় শাবক সহ তিনটি হাতির মৃত্যু। সোমবার সাত সকালেই মর্মান্তিক খবর ডুয়ার্সের রাজাভাতখাওয়া থেকে। রেলের তরফে একাধিক পদক্ষেপ গৃহীত হলেও ফের হাতির মৃত্যুতে উঠছে প্রশ্ন।

কী জানা যাচ্ছে?

সোমবার সকালে রাজাভাতখাওয়ার শিকারি গেটের কাছে রেললাইন পার হচ্ছিল একটি হাতির দল। সেই সময় ওই লাইন দিয়ে শিলিগুড়িগামী একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। মালগাড়ি ধাক্কাতেই ওই হাতিগুলির মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, ট্রেনের ধাক্কায় পিষে যায় একটি হাতির শাবক। বাকি দুটি হাতি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। বাকি দুটি হাতির মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।

বন দফতর কী জানাচ্ছে?

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৭ টা ২০ মিনিট নাগাদ হাতিগুলো রেল লাইনের উপর দিয়েই পার হচ্ছিল। সেই সময় ডিমা রেল সেতুর পাঁচশো মিটার আগে মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে হাতিগুলোর। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেল কর্তারা। আসেন বন দফতরের আধিকারিকরাও। এই নিয়ে ওই রেল পথে এখনও পর্যন্ত ৭৩টি বুনো হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। দুর্ঘটনাস্থলের খুব কাছেই অবস্থান করছে মৃত হাতি গুলির দলের অন্য সদস্যরা, ফলে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। বারবার ওই দলের ক্ষিপ্ত সদস্যারা তেড়ে আসার ফলে খুবই সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে বনকর্মীদের।

দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনের ধাক্কায় তিনটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। রাজাভাতখাওয়ার শিকারি গেটের কাছে রেললাইনের উপর দিয়ে হাতির দল যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলের পার্সেল বগিসহ ইঞ্জিনটি শিলিগুড়ির পথে যাচ্ছিল। ট্রেনের ধাক্কায় পিষে যায় একটি হাতির শাবক। অন্য একটি হাতির শাবক ও পূর্ণবয়স্ক হাতি ছিটকে যায় রেললাইন থেকে। আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম জানিয়েছেন, হাতিগুলির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মালগাড়ির চালক সহ প্রত্যেক কর্মীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। তাঁরা কোনও ভাবে নেশাগ্রস্ত ছিল কিনা সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে। নেশাগ্রস্ত ছিল বলে প্রমাণিত উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Siliguri News: রাস্তায় পড়ে ১৪টি কুকুরছানার নিথর শরীর! এমন দৃশ্যে শিউড়ে উঠল শিলিগুড়ি
ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু আটকানোর জন্য ইতিমধ্যে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেললাইনের পাশে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি মূলত এক ধরনের থার্মাল ডিভাইস। রেললাইনের কাছাকাছি কোনও হাতি এলে তার শরীরের তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস। তখনই গাড়ির চালক সতর্ক হয়ে যাবেন। হাতি কাছাকাছি থাকলে ৩০ ফুটের মধ্যে এই ডিভাইস কাজ করে। এই ডিভাইসের জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এরপরেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতসব ব্যবস্থার পরেও হাতির মৃত্যুতে উঠে প্রশ্ন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *