সোমবার সকালে চারচাকা করে দুই যাত্রী সিকিম থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় লিকুভিড়ের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চার চাকা গাড়িটি সোজা খাদে গিয়ে পড়ে। গাড়ির দুই যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। গাড়িটিকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তিস্তা ফাঁড়ির পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে, গাড়িটি উদ্ধার করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। খাদে পড়ে যাওয়ার পর গাড়িটি তিস্তা নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। খবর দেওয়া হয় রঙ্গিত রেসকিউ টিমকে। তাঁদের টিমের সদস্যরা এসে গাড়িটি উদ্ধার করে। এরপর একটি ক্রেন নিয়ে এসে গাড়িটিকে খাদ থেকে তোলার ব্যবস্থা করা হয়। সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহগুলি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক যাত্রী সিকিমের মেলি এবং আরেক যাত্রী সিকিমের গেজিং এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দার্জিলিং-এ একটি পর্যটন বোঝাই গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। গত অক্টোবর মাসে দার্জিলিঙে সিটং-এর কারমাথ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেবারেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ি। জানা যায়, প্রায় ১০০ ফুট গভীরে গিয়ে পড়ে গাড়িটি। পর্যটক বোঝাই গাড়িটিতে চালক সহ আরও সাত জন পর্যটক ছিলেন বলে জানা যায়। ১০০ ফুট গভীরে খাদে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পর্যটকদের উদ্ধার করেন।
দার্জিলিং রাজ্যের অন্যতম পর্যটন স্থান। সারা বছরই প্রচুর পর্যটক যাতায়াত করেন দার্জিলিং সহ আশেপাশের একাধিক ছোট পাহাড়ি গ্রামে। সতর্কতার সঙ্গে পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চলাচলের ব্যাপারে দার্জিলিং পুলিশের তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরেও মাঝেমধ্যেই পাহাড়ি খাদে গাড়ি পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে চলেছে। এ ব্যাপারে গাড়ির চালকদের আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। বিশেষত, রাতের দিকে কুয়াশা ঘেরা রাস্তায় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়।