বছরের ৩৬৫ দিন বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে এই গঙ্গা আরতির আয়োজন থাকে। পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এরাজ্যেও শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। বারাণসীর ধাঁচে সেই গঙ্গা থেকে সেই গঙ্গা আরতি দেখতে আয়োজন বাবুঘাটে।
প্রদীপে সেজে উঠেছে গঙ্গার ঘাট
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় ২০২৩ সালে মার্চ মাসে শুরু হয় বাজা কদমতলা ঘাটে আরতি। গঙ্গা বন্দনার এই বিশেষ ব্যবস্থার দায়িত্বে কলকাতা পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মতো বারাণসী, হরিদ্বারের আদলে শীতকাল সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এবং গরমকালে সন্ধ্যা ৭টার সময় হয় গঙ্গা আরতি। দশাশ্বমেধ ঘাটের আদলে বজরায় চেপে গঙ্গা আরতি দেখার অনুভব তিলোত্তমাতেও বসে পাওয়া সম্ভব। গঙ্গার বুকে ভাসতে ভাসতে আরতি দেখতে বিশেষ লঞ্চ পরিষেবা চালু করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল টুরিজ্যম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।
গঙ্গায় বসে গঙ্গা আরতি দেখার সুযোগ
বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখতে সপ্তাহের সাতদিনই বিকেল পৌনে ছটা অর্থাৎ 5:45-এ বাবুঘাট থেকে ছাড়ে একটি লঞ্চ। গঙ্গা আরতি দেখা ছাড়াও এক ঘণ্টা গঙ্গার বুকে ঘোরাও যাবে এই লঞ্চে। ছটা থেকে যাত্রা শুরু করে আরতি শেষে সাতটায় আবার বাবুঘাটেই ফিরবে লঞ্চ। এর জন্য মাথা পিছু খরচ পড়বে মাত্র ১০০ টাকা।
উল্লেখ্য, বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটের আদলে রবিবার ও সোমবার বাজা কদমতলা ঘাটে পালিত হয় দেব দীপাবলীও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্পূর্ণ আয়োজন করে কলকাতা পুরসভা। দশ হাজার প্রদীপ, আলোর মালায় সেজে ওঠে ঘাট। সঙ্গে আয়োজন ছিল বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দেব দীপাবলী দেখতে হাজির হন বহু মানুষ। গঙ্গাবক্ষ থেকে লঞ্চে চেপে আরতি দেখার হিড়িকও ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথমবার কলকাতায় আয়োজিত হয় এমন অনুষ্ঠান। শুধু গঙ্গা আরতি বা গঙ্গা পুজো নয়, ছিল জয়তী চক্রবর্তী ও শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের অনুষ্ঠানও। সব মিলিয়ে কলকাতায় বসে বেনারসের স্বাদ নিতে এদিন হাজির হয়েছিলেন বহু বিদেশি পর্যটকও।
