Same Sex Marriage : ফেসবুক থেকে বন্ধুত্ব! পালিয়ে বিয়ে বর্ধমানের সমপ্রেমী যুগলের, তারপর… – two girl who has done same sex marriage rescued by kalna police bardhaman


দীর্ঘদিন ধরেই নিখোঁজ ছিল দুই পরিবারের মেয়ে। পরিবারের চোখ এড়িয়ে দুই যুবতী বিবাহ সম্পন্ন করে বলে দাবি পরিবারের। অবশেষে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুগলকে উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনা বর্ধমান জেলার কালনায়। তিন মাস ধরে নিখোঁজ থাকার পর অন্ধ্র প্রদেশ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে আনা হয়েছে।

কী জানা যাচ্ছে?

সমপ্রেমী সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় উভয়েরই পরিবার। তাই গোপনে ভিনরাজ্যে পালিয়ে বিয়ে করেও হল না শেষরক্ষা। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় তারপরই বন্ধুত্ব। পরে তা পৌঁছয় প্রেমে। কিন্তু সমপ্রেমীতার সম্পর্কে উভয়েরই পরিবার বাধা হওয়ায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেও শেষ রক্ষা হল না। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে কালনা থানার পুলিশ। সোমবার তাঁদের কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।

কী জানাল পুলিশ?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় কালনা থানা এলাকার ওই নাবালিকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার এক যুবতীর। ক্রমে সেই সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের পর্যায়ে পৌঁছয়। কিন্তু আর পাঁচটা প্রেমের মতন এই প্রেমের সম্পর্ক না হওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার। শত চেষ্টায় পরিবারের লোকজনদের বোঝাতে না পেরে অবশেষে নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার কথা ভাবে দু’জনেই। সেই কারণে পরিবার ছাড়া হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা ভাবেন তাঁরা।

গোপনে বিয়ে করেন দু’জনে

গোপনে অন্ধ প্রদেশে পাড়ি দেয় দু’জনেই। সেখানেই বিয়ে করার পাশাপাশি সংসার বাঁধে তাঁরা। একটি কারখানায় কাজও নেয়। এদিকে মেয়েদের খোঁজ খবর না পেয়ে কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উভয়েরই পরিবার। তদন্তে নামে কালনা থানার পুলিশ। তবে দু’জনের দীর্ঘদিন ধরেই কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। প্রায় ৩ মাস পর গত রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে সেই রাজ্যের পুলিশের সাহায্যে দু’জনকেই উদ্ধার করে কালনা থানার পুলিশ। সোমবার তাঁদেরকে কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে দু’জনেরই গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার পাশাপাশি দু’জনকেই দু’জনের পরিবারের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

Bardhaman News : ‘এক ঘণ্টার মধ্যে জ্বালিয়ে দেব…’, TMC নেতার মন্তব্যে বিতর্ক বর্ধমানে
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসেই সমপ্রেমী বিবাহে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি হিমা কোলি, বিচারপতি সঞ্জয় কৃষ্ণ কউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি পি এস নরসিংহ এই রায় দিয়েছিলেন। যদিও এই কমিউনিটিকে তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না করা হয় সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *