এক দুই নয়, একেবারে সাত কোটি টাকারও বেশি গরমিল। অনলাইনে টিকিট বিক্রি হলেও জমা পড়েনি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কোষাগারে। সরকারি সংস্থার দেওয়া লগ ইন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে টিকিট বিক্রি করে প্রিন্সিপাল বুকিং এজেন্ট সংস্থা ও তাদের অধীনে থাকা অন্য বুকিং সংস্থাগুলি। এই প্রক্রিয়াতেই হয়েছে গলদ। টিকিট বিক্রির পুরো টাকা জমা না দেওয়ার অভিযোগ প্রিন্সিপাল বুকিং এজেন্ট সংস্থা দুর্গাপুরের এমএস নিউ ইউরেকা ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ।
জানা গিয়েছে, সরকারি বাসে টিকিট কাটা সহজ করতে ২০০৩ সালে এসবিএসটিসি বেসরকারি সংস্থাকে টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর ২০০৭সাল থেকে দুর্গাপুরের এমএস নিউ ইউরেকা ট্রাভেলস ক্লাব এসবিএসটিসি-এর বুকিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করা শুরু করে। এরপর ২০১৩ সাল থেকে অনলাইনে টিকিট বুকিং শুরু হতেই ১৪ সাল থেকে এমএস নিউ ইউরেকা ট্রাভেলস ক্লাবই সেই প্রক্রিয়াতেও বুকিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়ে অনলাইনের। সিংহভাগ টিকিট বুকিং শুরু হয় সেখান থেকেই। এই সময়ই টিকিট বিক্রির অর্থ নিয়ে বিপুল প্রতারণা শুরু হয় বলে দাবি। কিন্তু বিষয়টি এসবিএসটিসির চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসারের নজরে আসে ২০২১ সালে। দেখা যায় যা টিকিট বিক্রি হয়েছে সেই দামের থেকে অনেক কম টাকা জমা পড়েছে। টিকিট বিক্রিতে গরমিল ৭.৫৬ কোটি টাকার।
কোথায় গেল এই কোটি কোটি টাকা? সন্ধানে নেমে চক্ষু চড়কগাছ। ২০২১ সালে এসবিএসটিসির চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসারের নজর আসতেই শুরু তদন্ত। জানা গিয়েছে, তৎকালীন সংস্থার এমডি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিলেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। পুলিশে রিপোর্ট করাও হয়নি। তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে প্রায় দু’বছর বাদে সম্প্রতি ২৩ নভেম্বর দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণার বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ১২০বি ধারায় এফআইআর করা হয়েছে বলে খবর।