Trinamool Congress : তরুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতাও দরকার, মত তাপস-মদনের – experience with young women is also needed says tapas roy


এই সময়: কুণাল ঘোষের পরে এবার তাপস রায়। তৃণমূলে প্রবীণ-নবীনদের গুরুত্ব বিতর্কে জোড়াফুলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায় মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী, দলের মুখ, তবে একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বও প্রয়োজন। তৃণমূলে অভিজ্ঞ নেতাদের যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনই তারুণ্যকেও উপেক্ষা করা যাবে না।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুক্রবার একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের নেতানেত্রীদের মধ্যে চর্চা অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার তাপস বলেন, ‘ঘাসের উপর জোড়াফুল যেমন তৃণমূলের প্রতীক, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখও দলের সিম্বল। মমতাকে বাদ দিয়ে কোনও কিছু ভাবা যায় না। ইদানীং অভিষেক নিজের যোগ্যতায় একটি জায়গা করেছেন। অভিষেকের নেতৃত্বও প্রয়োজন।’

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মমতা পুরনো ও নতুন নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তৃণমূলনেত্রীর সেই বার্তার প্রেক্ষিতে তাপসের ব্যাখ্যা, ‘দলে নতুন রক্ত প্রয়োজন। তারুণ্যকে উপেক্ষা করা যায় না, আবার অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন রয়েছে।’ প্রবীণ-নবীন চর্চায় ঢুকে পড়েছেন তৃণমূলের আর এক পোড়খাওয়া নেতা মদন মিত্রও। তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের পরামর্শদাতার জায়গায় দেখতে চান তিনি।

মদন এ দিন বলেন, ‘সচিন অবসর না নিলে বিরাটকে পাওয়া যেত না। গাভাসকর অবসর না নিলে আবার সচিনকে পেতাম না। প্রবীণদের এক সময়ে অবসর নিতে হয়। কিন্তু তাঁরা উপদেষ্টার ভূমিকায় থাকবেন। মহাভারতে বিদুর যে ভাবে পরামর্শ দিতেন, সেভাবে প্রবীণ নেতারাও পরামর্শ দেবেন।’

নেতাজি ইন্ডোরের সভায় অভিষেকের ছবি থাকলে ভালো হতো বলে সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছিলেন কুণাল। যদিও মদনের মতে, কেউ ইচ্ছে করে এই কাজ করেছে বলে তাঁর মনে হয় না। মদনের কথায়, ‘মমতা ও অভিষেক সমার্থক। মমতার ছবি থাকা মানে অভিষেকের ছবি থাকা। আগামী দু’-এক মাসের মধ্যে হয়তো মমতা অফিসিয়ালি বলতে পারেন, তিনি দিল্লির ইলেকশন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। সেই সময়ে অভিষেক গোটা পরিবারকে দেখবে। দলে অনেক চকচকে নেতা, হিরো-হিরোইন থাকলেও অভিষেকের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। অভিষেকের মতো মুখ নেই।’

Kunal Ghosh : এমপি-এমএলএ হতেই হবে? কুণালের প্রশ্নে দলের সিনিয়র সদস্যরা
মদন এ-ও মনে করছেন যে, ‘মমতা যদি টানা একমাস দিল্লিতে সাংসদদের নিয়ে আন্দোলনে ব্যস্ত থাকেন, সেই সময়েও দল ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিষেকের নাম-ই সামনে এসে যাবে।’ তবে তাপস ও মদন–দু’জনেরই সাফ কথা, কোনওভাবে তৃণমূলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা যাবে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *