চাকদায় যুবক খুনে ধৃত প্রেমিকা, নেপথ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক? – nadia girl allegedly has been arrested for murdering her lover


এই সময়, কৃষ্ণনগর: সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই খুনের ঘটনা ঘটেছিল নদিয়ার চাকদা থানার মদনপুরে। শনিবার সন্ধের এই খুনের ঘটনায় শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন এক তরুণী। বছর কুড়ির পারুল খাতুনের বাড়ি চাকদারই রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের যাত্রাপুর গ্রামে। ঝাড়খণ্ডের আদি বাসিন্দা নিহত আকলাক আলমের সঙ্গে পারুলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। রানাঘাট জেলা পুলিশের এক আধিকারিক সোমবার জানান, পুলিশি জেরায় অপরাধ কবুল করেছেন ধৃত তরুণী। এ দিন তাঁকে কল্যাণীর আদালতে তোলা হলে ৬ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

ধৃত পারুল পুলিশকে জানিয়েছেন, আকলাক বিবাহিত এবং তাঁর একাধিক সন্তান রয়েছে জানার পর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর পিছু ছাড়তে রাজি ছিলেন না আকলাক। ক্রমাগত বিরক্ত করছিলেন তাঁকে। ধৈর্য্যের সীমা একসময়ে ছাড়িয়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে তাঁকে খুন করেন বলে জানিয়েছেন পারুল। তবে খুন করার পরে কার বাইকে উঠে তিনি দ্রুত চম্পট দিয়েছিলেন বা আর কারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন, আগ্নেয়াস্ত্রই বা কোথা থেকে এল, তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

শনিবার ভরসন্ধেয় মদনপুর রেল স্টেশনের কাছে গাঙ্গুলিপাড়ায় একটি ক্লাবের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন আকলাক। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরেও মৃতের পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। শেষে পুলিশ জানতে পারে, নিহতের নাম আকলাক আলম। আদি বাড়ি ঝাড়খণ্ডের কবীরনগর দোবোর পহেলা মোড়ে। রবিবার ঝাড়খণ্ড থেকে আসা তাঁর বাড়ির লোকজন মৃতদেহটি শনাক্তও করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ঠিকাদারি সংস্থায় কাজের সুবাদে পারুলদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আকলাক। সেখান থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। বছর দুয়েক আগে পারুল একবার আকলাকের সঙ্গে চলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে আকলাকের স্ত্রী-সন্তান আছে জানতে পেরে এই সম্পর্ক ছেড়ে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। এরপরে আলাদা বাড়িতে ভাড়া গেলেও আকলাক পিছু ছাড়ছিলেন না বলে দাবি পারুলের বাড়ির লোকজনের।

পারুলের বাবা নির্মাণ শ্রমিক। এর মধ্যে পারুলের বিয়ের ঠিকও হয়েছিল। অভিযোগ, এদিকে বিরক্ত করা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আকলাক। শনিবার তিনি পারুলকে ডেকে পাঠালে প্রস্তুত হয়েই গিয়েছিলেন পারুল। মদনপুরের গাঙ্গুলিপাড়ার ক্লাবের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দু’চার কথা হওয়ার পরেই নাকি বচসা শুরু হয়েছিল। তারপরেই তাঁকে গুলি করে বাইকে উঠে চম্পট দেন পারুল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *