বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটের পর অধিবেশনের কক্ষের বাইরে লাগাতার বিক্ষোভে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সমস্ত বিজেপি বিধায়কেরা। এর জেরে ব্যাপক অশান্ত বিধানসভা সভা চত্বর। সেখানে দাঁড়িয়েই বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা। এখানে দাঁড়িয়ে যারা চোর চোর করে চিল্লাচ্ছে, তাঁরা প্রতি স্কোয়ার ফিট কত টাকা করে নেয় সব জানি। আমি যদি একবার মুখ খুলি, পালিয়ে বাঁচবে না। কিন্তু আমি শুধু মুখ খুলছি না এই কারণে যে আমি বিশ্বাস করি এক ড্রেসিংরুমে থাকলে নোংরা লিনেন বাইরে ধোওয়া উচিত নয়।’
এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সু্প্রিয় নাম করে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আসানসোলে দিলীপবাবু তো একের পর এক কয়লা মাফিয়াকে সাইন করাচ্ছিলেন। আমি একমাত্র এর প্রতিবাদ করি। এই যে দিলীপ ঘোষ রোজ সকালে হাঁটতে গিয়ে বড় বড় কথা বলেন, এক বছর ধরে কোন ব্যবসায়ীর বাড়িতে ছিলেন উনি? কে তাঁকে ওই বিশাল বাড়িটায় থাকতে দিয়েছিল? উনি যে হাতে ঘড়িটা পরেন, কোথা থেকে পেলেন ঘড়িটা? ওই ঘড়িটা পরার মতো ক্ষমতা রয়েছে ওঁর? সোনার ইয়ে করা…কোথা থেকে এসব আসে?’
এদিন বিধানসভা শুরু থেকেই ব্যাপক বিক্ষোভে উত্তাল। এদিন বিধানসভায় ঢুকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্ডু অধিকারী গলা চড়িয়ে জিজ্ঞেস করেন,’ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কেন জেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় তার জবাব দিতে হবে।’ এই মর্মে এদিন বিজেপি বিধায়কেরা প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে লাগাতার স্লোগানিং করতে থাকেন। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারণ করা সত্ত্বেও তারা কথা শোনেননি। জবাব না পেয়ে শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করে বিজেপি বিধায়কেরা।