Digha Sea Beach : অপু-দুর্গা থেকে গুপি-বাঘা! সত্যজিৎ রায় স্মরণে নতুন চমক দিঘায় – satyajit ray theme park at digha sea beach is setting up for the tourist attraction


শীতের পরশ গায়ে লাগিয়ে সমুদ্র সৈকতে রোদ পোয়ানোর মজাই আলাদা। বছরের শেষ লগ্নে তাই অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন দিঘা-মন্দারমণি। তবে দিঘা এখন আর শুধুমাত্র সমুদ্র উপভোগের ডেস্টিনেশন নয়, সঙ্গে রয়েছে একাধিক বিনোদনমূলক ব্যবস্থাও। দিঘার মুকুটে জুড়তে চলেছে নতুন পালক। এবার সৈকত শহরের বাসিন্দারা উপহার পেতে চলেছেন ‘সত্যজিৎ রায়’ পার্ক।

কী জানা যাচ্ছে?

নতুন বছরে দিঘার পর্যটকদের একের পর এক উপহার তুলে দিতে চলেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। প্রমোদতরীর পর এবার দিঘার পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ‘সত্যজিৎ রায় পার্ক’। ইতিমধ্যে ওল্ড দিঘার বিশ্ববাংলা -২ পার্কের কাছে সেজে উঠছে সত্যজিৎ রায় পার্ক। দিঘায় আগত পর্যটকদের বিনোদনের জন্য এই ধরনের পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ওল্ড দিঘার বিশ্ববাংলা -২ পার্কের কাছে বিচের পাশে এই পার্কটি গড়ে তোলা হবে। একদিকে সমুদ্রের ঢেউয়ের মজা, অপর দিকে গুপী বাঘার সঙ্গে হিরক রাজার দেশে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

কী জানাচ্ছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ?

দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা জানান, পর্যটকদের কথা ভেবে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় উন্নয়ন পরিষেবা তুলে ধরার চেস্টা করা হচ্ছে। সত্যজিৎ রায়ের তৈরি করা বিভিন্ন ছবির কিছু চিত্র তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী নতুন বছরে তা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Digha Sea Beach

চলছে পার্ক তৈরির কাজ

রাজ্য সরকার চাইছে, রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘাকে পর্যটক উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার। ইতিমধ্যে ঝাঁ চকচকে রাস্তা, সাউন্ড সিসটেম, ডিজিটাল পরিষেবার পাশাপাশি পুরির আদলে জগন্নাথ ধাম মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে ২০২৪ পর্যটকদের সামনে এক গুচ্ছ উন্নয়নমূলক পরিষেবা তুলে ধরা হচ্ছে।

Digha Jagannath Temple : দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ নিয়ে জোর তৎপরতা, ২৪-এ বড় প্রাপ্তি বঙ্গবাসীর
নতুন বছরের শুরুতেই আরও একটি উপহার পেতে চলেছেন দিঘায় আসা পর্যটকরা। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে সমুদ্রে প্রমোদতরীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে এই প্রমোদতরী পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জলপথে কোন রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, কেমন স্পিড রাখা যেতে পারে এই সমস্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। নতুন বছরের শুরুতেই এই পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *