কারা এই ঠিকা প্রজা?
আগেকার দিনে জমিদারদের থেকে জমি ভাড়া নিতেন ঠিকা প্রজারা। ভাড়া জমিতেই দীর্ঘদিন দিন ধরে বসবাস করেন তাঁরা। তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে সেই সময় যে বাড়ি তৈরি করেছিলেন, তার মালিক সেই ভাড়াটিয়ারা। কিন্তু, জমির মালিক সেই জমিদাররা। বর্তমানে সেই জমিদারদের কোনও অস্তিত্ব নেই। সেই কারণে ভাড়াটিয়াদের বর্তমানে ওই জমিতে নতুন কোনও নির্মাণ করার সময়ই বিপদে পড়ছেন তাঁরা।
কী সমস্যায় পড়ছেন?
জমির ভাড়া নেওয়া ব্যক্তিদের সরকারি খাতায় নাম তোলা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জমি সংক্রান্ত দলিল, জমিদারের সঙ্গে চুক্তির কপি, চালান, জমা দিয়ে নাম তুলতে হয়। গত তিন চার দশক ধরে যাঁর নাম তুলতে পারেননি, তাঁরা এখন সমস্যায় পড়ছেন। এমনকি ওই জায়গায় নতুন নির্মাণ করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
মেয়রের কাছে অভিযোগের পাহাড়
জানা গিয়েছে, টক টু মেয়রের কাছে এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ এসে জমা পড়েছে। ঠিকা প্রজা হিসেবে অনেকেই নাম তুলতে পারেননি সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ছে। ঠিকা কন্ট্রোলের অফিসেও এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে। বিষয়টি খেয়ালে আসে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। ঠিকা প্রজা নিয়ে একটি ফাইল পাঠানো হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। তাঁদের নাম তোলার ব্যাপারে যাতে নতুন করে সুযোগ দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮১ সালে ঠিকা আইন ২০০১ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। এই আইনের উপর ২০০৪ সালে নতুন রুল যুক্ত করা হয়। ২০০৪ সালের নতুন বিধিতেই নতুন নাম তোলার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ঠিকা কন্ট্রোল অফিস নির্দিষ্ট নথির ভিত্তিতে সেই নাম তোলার কাজ সম্পন্ন করতে পারতেন। পরবর্তীকালে সেই নিয়ম তুলে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ঠিকা প্রজাদের নাম তোলার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফের সেই সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছে।