Kolkata Municipal Corporation : রাস্তা মেরামতে মোটা টাকা, মাটির নিচে ইউটিলিটি সার্ভিস আনতে চায় পুরসভা – kolkata municipal corporation wants to bring utility services underground


এই সময়: রাস্তার খোঁড়াখুড়ি কিছুতেই থামে না কলকাতা পুর-এলাকায়। আজ জলের পাইপের জন্যে তো কাল নিকাশি পাইপের জন্যে রাস্তা খুঁড়তে হয় পুরসভাকে। এর জন্যে এক দিকে যেমন বাসিন্দাদের সমালোচনা শুনতে হয়, অন্য দিকে বার-বার রাস্তা খোঁড়া এবং তা মেরামতের জন্যে মোটা টাকাও গুণতে হয়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কলকাতায় মাটির নীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাবতীয় ‘ইউটিলিটি সার্ভিস’ একত্রিত করার পরিকল্পনা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি সংশ্লিষ্ট পুর-আধিকারিকদের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সূত্রের দাবি, এই কাজ শুরুর জন্যে প্রাথমিক ভাবে আশুতোষ মুখার্জি রোড এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হচ্ছে।

বিরোধীরাও এই পরিকল্পনাকে ভালো উদ্যোগ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা এই কাজের জন্যে যে বিপুল টাকার প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা কোথা থেকে হবে–সে প্রশ্ন তুলেছেন। কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিজেপি’র সজল ঘোষের বক্তব্য, ‘পরিকল্পনা খুবই ভালো। প্রয়োজনে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাশে দাঁড়াব। কিন্তু এই পরিকল্পনাটা অনেকটা ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতো। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে হলে অর্থের সংস্থান কোথা থেকে হবে–সবার আগে সেই উপায় জানাতে হবে।’ বামেদের তরফে কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মধুছন্দা দেব বলেন, ‘এখন পুরসভার যা আর্থিক হাল তাতে এই কাজের জন্যে যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন–তা কোথা থেকে আসবে, সেটাই সব থেকে বড় বিষয়। তবে পরিকল্পনাটা যে ভালো, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।’

পুরসভার অধিকাংশ আধিকারিক মনে করছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা গেলে রাস্তা খোঁড়া নিয়ে তাঁদের যে প্রতিনিয়ত কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়–তা থেকে মুক্তি মিলবে। তবে এই কাজ করতে গিয়ে আশুতোষ মুখার্জি রোড বা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মতো ব্যস্ত রাস্তায় যে বিপুল খোঁড়াখুড়ি করতে হবে–তা বাস্তবে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে আধিকারিকদের একাংশের মধ্যেও সংশয় রয়েছে। একাধিক আধিকারিকের বক্তব্য, উত্তর কলকাতার বহু রাস্তার নীচে ব্রিটিশ আমলের নিকাশি এবং জলের পাইপলাইন রয়ে গিয়েছে যা সরিয়ে এক জায়গায় আনা কষ্টসাধ্য কাজ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কষ্টসাধ্য হলেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরসভা এই সমস্যার সমাধান করতে চায়। একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজনে পুরসভা বাজারে বন্ড ছেড়েও অর্থ জোগাড়ের ব্যবস্থা করতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *