সোমবার শহিদ মিনারের পাদদেশে গুরু নানকের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে একটি সেবামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আর সেই লঙ্গরখানাতেই নিজের হাতে রুটি বেলে রুজিরা। মাথায় কাপড় জড়িয়ে একেবারে সাধারণ বেশভূষায় এই কাজ করতে দেখা যায় তাকে। অন্যদিকে, মায়ের পাশে বসেই লেচি তৈরি করছিল খুদে আজানিয়াও। মা ও দিদির পাশেই ছিল আয়াংশও। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ব্যাপকভাবে।
বঙ্গ রাজনীতির ‘ফোকাস’-এ থাকেন মমতা-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মণ্ড হারবার থেকে ডেবরা, ভবানীপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর- বঙ্গ রাজনীতির মানচিত্রে যেই অংশেই নজর দৌড়ায় সেখানে তাঁদের দাপট অব্যাহত।
কিন্তু, স্বামী-পিসি শাশুড়ির মতো রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায় না রুজিরাকে। প্রচারের আলো থেকে দূরেই থাকেন তিনি। ‘তৃণমূল স্তরের’ মানুষজনের সঙ্গে তাঁর মেলামেশা একেবারেই সাধারণ স্তরে, তাঁদের নিজেদের লোক হয়ে। এর আগে পারিবারিক কিছু অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল রুজিরাকে।
রাজভবনে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছিলেন সেই সময় সেই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও খুব একটা বেশি সময় থাকেননি তিনি। শোনা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নাকি খাবার এনেছিলেন তিনি। সেই প্রথম কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে ক্ষনিকের জন্য দেখা পাওয়া গিয়েছিল তাঁর।
এরপর রেড রোড কার্নিভালেও উপস্থিত ছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ছেলে এবং মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শহিদ মিনারের পাদদেশে যান রুজিরা। সেখানেই সেবামূলক কাজে হাত লাগান তিনি। রাজ্যের অন্যতম ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক নেতার স্ত্রীকে এভাবে সেবামূলক কাজে যুক্ত থাকতে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
অনেকেই রুজিরা-আজানিয়া-আয়াংশের একফ্রেমে থাকা এই দৃশ্য প্রশংসায় ভরিয়েছেন। যদিও রাজনীতি প্রসঙ্গ টেনে রুজিরাকে আক্রমণও শানান নেটপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জন্মদিনে আয়াংশকে নিয়ে বাড়ির বাইরে এসেছিলেন এবং সকলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ২০২১ সালে ২ মে তৃতীয়বার যখন তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ভিকট্রি সাইন দেখিয়েছিলেন আজানিয়া। এরপর গত বছর সেন্ট পল ক্যাথিড্রাল চার্চেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন ঠাকুমা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাবা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।