অন্যদিকে, এদিন স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এদিন শুরু থেকেই অধিবেশন তপ্ত ছিল। যে সমস্ত বিধায়করা BJP-র টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন এবং পরে দল বদল করেন তাঁদের জন্য জটিল হয় পরিস্থিতি। এদিন গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক শংকর ঘোষকে দলত্যাগ প্রসঙ্গ সামনে আসেন। তবে তা এক্সপাঞ্জ করার কথা বলা হয়। সেই নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ। এরপরেই BJP বিধায়করা বিক্ষোভ দেখান।
বিরোধী দলনেতা দাবি করে ছিলেন, এই মন্তব্য বাদ হওয়ার মতো নয়। এদিকে অধ্যক্ষর সঙ্গে তুমুল বিতর্কে জড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁকে সতর্কও করেন। বিরোধী দলনেতা যে সঠিক আচরণ করছেন না সেই বিষয়ে সতর্কও করেন। নিয়ম মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন।
এরপর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা কক্ষ ছাড়েন তাঁরা। এদিকে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার জন্য প্রস্তাব পেশ করেন। এতে সম্মতি জানান তৃণমূল বিধায়করা।
এর আগে গত বছর শুভেন্দু অধিকারী সাসপেন্ড হয়েছিলেন। পরে অবশ্য আদালতের হস্তক্ষেপে সাসপেনশন প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমারা স্পিকারের থেকে সংবিধানের প্রোটেকশন পাচ্ছি না। সংবিধান দিবসে মিষ্টি কথা শুনে লাভ নেউ। এই হাউস সংবিধান পরিপন্থী কাজ করে চলেছে তা বলেছি ভিতরেও।’
এদিন স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘আমাদের মোট অভিযোগ রয়েছে ১৮ দফা। আমরা নিয়ম মোতাবেক সচিবের কাছে ৩৮ জন BJP বিধায়ক অনাস্থা এনেছি। আমি মনে করছি এই বারেও বাতিল (রিজেক্ট) করা হবে।’
এদিকে তৃণমূল বিধায়করাও ধরনা য় বসতে চলেছেন তৃণমূল বিধায়করা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্য শাসক দলের নেতারা। এই নিয়ে দিল্লিতে গিয়েও করা হয়েছে আন্দোলন। এবার সেই ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র দাবিতে এবার ধরনা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।