কী জানাল পরিবার?
মানিক তালুকদারের পুত্র জানান, ‘আমরা শুধু অপেক্ষা করছি। সকালে NDRF টিম জানিয়েছে আজ বিকেলের মধ্যেই ওনাদের উদ্ধার করা হবে। ফোনের অপেক্ষায় আছি। এর আগেও তো সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। এখন আগে বের হোক, তারপর কিছু বলতে পারব।’
উৎকণ্ঠায় রয়েছে পরিবার
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে আটকে পড়েছেন কোচবিহার জেলার বাসিন্দা মানিক তালুকদার। জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার বলরামপুরের চেকাডোরা গেন্দার পার এলাকার বাসিন্দা তিনি। মাস ছয়েক আগে উত্তরাখণ্ডে ইলেকট্রিকশিয়ানের কাজে যান একটি কোম্পানির কর্মী হয়ে। একাধিক রাজ্যের ৪১ জন শ্রমিকদের মধ্যে কর্মরত ছিলেন মানিক। আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে বাংলার রয়েছে তিনজন।
আর কয়েক মুহুর্তের অপেক্ষা
দুর্ঘটনার খবর আসার পর থেকেই উৎকণ্ঠায় রয়েছে গোটা পরিবার সহ পাড়া প্রতিবেশীরাও। প্রথম টিভিতে দেখে সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবর পান মানিকের পরিবারের সদস্যরা। এরপর দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লোকজন, NDRF টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তাঁরা। শুধু একটাই প্রার্থনা, ভালোয় ভালোয় যেন সুড়ঙ্গ থেকে সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে আসেন তিনি।
পরিবার জানিয়েছে, মানিক তালুকদারের সঙ্গে দুর্ঘটনার আগে ফোনে যোগাযোগ করা গেলেও দুর্ঘটনার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা মানিকের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। পরিবার সূত্রে খবর, বছর পঞ্চাশের মানিক তালুকদার পেশায় একজন ইলেকট্রিক্যাল কর্মী। ওই সুড়ঙ্গের ভিতরে বিদ্যুতের লাইন পাতার কাজ ছিল তাঁর।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল থেকেই জোরকদমে খনন কার্য চলতে থাকে। উদ্ধারকারীরা আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে এনেছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, আর মাত্র কয়েক মিটার দূরে রয়েছেন তাঁরা। অনেকটা ইঁদুরের গর্ত খোঁড়ার কায়দায় এই খনন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রথমবারের ব্যর্থতার পর দ্বিতীয়বার একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করে গোটা খনন কার্য করা হচ্ছে বলে জানাতে পারা গিয়েছে।
