Bagtui Massacre: BJP-কে সমর্থন করায় মিলছে না স্থায়ী চাকরি! দেওয়া হয়নি মৃত্যুর শংসাপত্রও, বিস্ফোরক অভিযোগ বগটুই কাণ্ডে স্বজনহারাদের – birbhum bagtui massacre victim complained about not getting salary as he supports bjp


ফের রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনায় শিরোনামে বগটুই। প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ঘটনার একবছরও পরও মেলেনি স্থায়ী চাকরি। আরও বিস্ফোরক অভিযোগ বগটুইয়ের স্বজনহারাদের। বিজেপিকে সমর্থন করায় চাকরি পেলেও জুটছে না বেতন। তার উপর আটকে রাখা হয়েছে ডেথ সার্টিফিকেট বলেও অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।

ফের বিস্ফোরক বগটুইয়ের স্বজনহারা পরিবারের সন্তান মিহিলাল শেখ । তিনি বলেন,’বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য প্রায় ৭মাস ধরে মিলছে না বেতন । মুখ্যমন্ত্রী এক বছরের মাথায় চাকরি স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও হয়নি কারও স্থায়ী চাকরি। এমনকী নিহতদের ১০ জনের মধ্যে সাতজনের ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়নি।’

দিনটা ছিল ২১ মার্চ, ২০২২ । ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত তখন সাড়ে ৯টা । হঠাৎই পোড়া মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে পরে বগটুই গ্রামজুড়ে । পরদিন সকালে গোটা বাংলা জেনে গিয়েছিল বীরভূমের সেই গ্রামটার নাম। সৌজন্যে এক নারকীয় ঘটনা। এরপর বগটুইয়ের গণহত্যা নিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল । রাজনীতির টানাপোড়েন, সিবিআই তদন্ত পেরিয়ে বছর পার করেছে বগটুই গণহত্যা। এমনকি ঘটনার পর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও এসেছিলেন এই গ্রামে । স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে চাকরি ও এককালীন আর্থিক সাহায্যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি একবছর পর চাকরি স্থায়ী করার কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি বলেই দাবি বগটুইয়ে ক্ষতিগ্রস্থের।

স্বজনহারা পরিবারের সন্তান মিহিলাল শেখের বলেন , ‘মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো তাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল রামপুরহাট মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে । মাসিক বেতন হিসেবে দেওয়া হত ১০,০০০ টাকা । কিন্তু, প্রতিদিন কর্মস্থলে গেলেও গত ৭মাস ধরে মিলছে না সেই বেতন । মূলত বিজেপিকে সমর্থন করার জন্যই আমার বেতন বন্ধ করা হয়েছে।’ এছাড়াও তাঁর অভিযোগ,’মুখ্যমন্ত্রী এক বছরের মাথায় চাকরি স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও হয়নি কারও চাকরি পাকা । এমনকি নিহতদের ১০ জনের মধ্যে ৭জনের ডেথ সার্টিফিকেটও এখনও দেওয়া হয়নি। “

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কার্যত প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। বদলে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ওকে বলুন যেখান থেকে বেতন পেতো সেখানে যোগাযোগ করতে । আর এর আগে যখন সে বেতন পেত তখন কি আপনাদের বলেছিল আমি বেতন পাচ্ছি । বলেনি যখন, তাহলে এখন কেন বলছে ? তাই আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না ।’ যদিও এই প্রসঙ্গে রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পান্ডে জানান, ‘ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়ার বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *