Bike Price : বাইক কেনার শখ! ১০ টাকার কয়েনের বস্তা নিয়ে হাজির ক্রেতা, তারপর… – bike price given by 10 rupees coins at a showroom in birbhum


বাইক কেনার জন্য শোরুমে হাজির ক্রেতা। সঙ্গে করে নগদ এনেছেন। দামী বাইক কেনার জন্য বায়নাও করেন তিনি। বিক্রেতারাও খুশি নতুন বাইক বিক্রির আশায়। তবে একি! নগদ টাকা নেওয়ার সময় চক্ষু চড়ক গাছ বিক্রেতাদের। ব্যাগ ভর্তি করে ক্রেতা নগদ তো এনেছেন, তবে সবই ১০ টাকার কয়েন। তবে ক্রেতাও নাছোড়বান্দা! তিনি বাইক কিনেই ছাড়বেন। শেষে একটি একটি করে কয়েন গুনতে বসলেন শো রুমের কর্মীরা। বাইক কিনে খুশি বাড়ি ফিরলেন ক্রেতা। ঘটনা বীরভূম জেলায়।

কী ঘটনা ঘটেছে?

এবার বীরভূমের একটি মোটরবাইক শোরুমে ব্যাগ ভর্তি ১০ টাকার কয়েন নিয়ে লক্ষাধিক টাকার বাইক কিনতে গেলেন এক ব্যক্তি। আর সেই কাণ্ড দেখেই কার্যত অবাক হন শোরুমের মালিক ও কর্মীরা। যদিও পরে শোরুমের ৬ জন কর্মচারী মিলে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সেই টাকা গোনার পর অবশেষে মোটরবাইক তুলে দেওয়া হয় ক্রেতার হাতে। দীর্ঘদিন ধরে জমানো টাকায় কেনা নিজের স্বপ্নের নতুন বাইকে চেপে হাসি মুখে বাড়ি ফেরেন লটারি বিক্রেতা তাপস লেট।

জমানো টাকায় বাইক

বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত চাকপাড়ার বাসিন্দা তাপস লেট। পেশায় লটারি বিক্রেতা তিনি। তাঁর দীর্ঘদিনের শখ ছিল দশ টাকার কয়েন জমিয়ে বড় কিছু কেনার। আর সেই জন্যই প্রতিদিন নিজের আয় থেকে কিছু কিছু করে টাকা জমাতেন তিনি। কাগজের নোট নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে শুধু 10 টাকার কয়েন লক্ষ্মীর ভাঁড়ে ভরতেন। আসতে আসতে এক, দুই, তিন করে চারটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভর্তি হয়ে যাওয়ার পরে তাপস বাবু ভাবেন তিনি এই জমানো টাকা দিয়ে তার স্বপ্নের মোটরবাইকটি কিনবেন। আর ভাবা মাত্রই তিনি নিজের এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান মল্লারপুরের একটি বাইকের শোরুমে। আর সঙ্গে থলে ভর্তি করে নিয়ে যান দশ টাকার কয়েন।

এরপর কী হয়?

শোরুম পৌঁছনোর পর কয়েন দিয়ে বাইক কেনার কথা শুনে সেখানকার কর্মচারীদের বললে প্রথমে তাঁরা বিষয়টি মজার ছলে নিয়েছিলেন। কিন্তু যখন তিনি তাঁর নিজের সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া থলে ভর্তি দশ টাকার কয়েন দেখান, তখন এক নিমিষে চোখ কপালে ওঠে শোরুমের কর্মচারীদের। এই ঘটনা শুনে তড়িঘড়ি শোরুমে ছুটে আসেন মালিক। প্রথমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলেও পরে মালিক সিদ্ধান্ত নেন শোরুমের কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে কয়েন গোনার। পরে থলে থেকে বার করে সেই কয়েন গুনতে বসেন ৬ জন কর্মচারী। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে কয়েনগুলিকে গোনার পর অবশেষে লটারি বিক্রেতা তাপস লেটের হাতে তুলে দেওয়া হয় তার স্বপ্নের মোটর বাইক।

Top 10 Bikes : এই সব বাইক থেকে চোখ সরানো যায় না, পকেটে কত থাকলে কিনতে পারবেন? জানুন
কী জানাল শোরুম কর্তৃপক্ষ?

শোরুমের ম্যানেজার জানান, ‘যেহেতু কয়েনের সংখ্যা অনেক ছিল তাই তা গুনতে দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যাবে৷ সেই কারণেই প্রথমে আমরা তা নিতে অস্বীকার করলেও, পরে ক্রেতার মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নি সকলে মিলে টাকা গোনার। দুই ঘণ্টা টাকা গোনার পর অবশেষে ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন গাড়ির চাবি।’ অন্যদিকে, নিজের কষ্টার্জিত টাকায় স্বপ্নের বাইক কিনে, তাতে চেপেই হাসি মুখে বাড়ী ফেরেন তাপস লেট। সঙ্গে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শোরুম মালিক ও কর্মচারীদের প্রতি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *