Firhad Hakim : পুর-অধিবেশনে বেশি প্রশ্ন তৃণমূল কাউন্সিলারদেরই, শাসকই বিরোধী ভূমিকায়! – trinamool councilors are seeking solutions to the problems of different wards from mayor firhad hakim


এই সময়: শাসক কাউন্সিলাররাই কার্যত বিরোধীদের ভূমিকায়! কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সমস্যার কথা তুলে ধরে বিহিত চাইছেন তৃণমূল কাউন্সিলাররাই। পুরসভার গত কয়েকটি অধিবেশনের ছবিটা অন্তত এমনই। এখন কলকাতা পুরসভায় বিরোধী দল বিজেপির কাউন্সিলার তিন জন। বাম কাউন্সিলারের সংখ্যা দুই, কংগ্রেসের এক জন। ১৪৪ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ১৩৮ জনই তৃণমূলের। ফলে প্রতিটি মাসিক অধিবেশনে শাসক দলের কাউন্সিলরদের প্রশ্নে অনেক সময়ে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্য মেয়র পারিষদদের।

গত অধিবেশনে ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সঞ্চিতা মিত্র বেহালায় তাঁর ওয়ার্ডে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দপ্তরের আওতাধীন সাত বিঘা জমিতে কী ভাবে দিনের পর দিন বেআইনি কারখানা রমরিময়ে চলছে, সেই প্রশ্ন তোলেন। আবার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে তাঁর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাবুরাম শীল লেন, মদন দত্ত লেন, শ্রী গোপাল মল্লিক লেন, জগবন্ধু লেনে উৎসবের মরশুমেও জল সংকট চলছিল বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি বিশ্বরূপের প্রশ্ন ছিল, জিএসটি ও সেস বাধ্যতামূলক হওয়ার জন্য কী ভাবে পুরসভার উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

নিজের দলের কাউন্সিলারদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র নিজেই। কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে গড়ে সাত-আটটি প্রশ্ন করেন কাউন্সিলররা। পাশাপাশি পুর-পরিষেবা নিয়ে গড়ে ছ’-সাতটি করে টিকা-সহ প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে বিরোধীরা গড়ে দু’-একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। প্রস্তাব ও টিকার ক্ষেত্রেও সংখ্যাটা মোটের উপর একইরকম। তাই অধিবেশনের একটা বড় সময়ে তৃণমূল কাউন্সিলাররাই নাগরিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরছেন। বিরোধীদের তরফে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ প্রতি অধিবেশনে নিয়মিত প্রশ্ন ও প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

গত অধিবেশনেও সজল শহরের হকার নীতি এবং পার্কিং টেন্ডার কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠকও মাঝেমধ্যে নিজের ওয়ার্ডের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বামেদের দুই কাউন্সিলারকে অবশ্য সেভাবে প্রশ্ন বা প্রস্তাব উত্থাপন করতে দেখা যায় না প্রতি অধিবেশনে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘এটা দুঃখের হলেও সত্যি যে পুরসভার অধিবেশনে বিরোধী কাউন্সিলাররা তাঁদের ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। তাই এখন অধিবেশনে আমাদের কাউন্সিলাররাই সমস্যার কথা তুলে ধরছেন।’

পাল্টা সজলের দাবি, ‘যে ক’জন বিরোধী কাউন্সিলার আছেন, তাঁরা অধিবেশনে নিয়মিত প্রশ্ন ও প্রস্তাব উত্থাপন করেন। কিন্তু অধিবেশনে বিরোধীদের বলতেই তো দেওয়া হয় না।’ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় বলেন, ‘এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ। সময় মেনে প্রতিটি অধিবেশনে সব দলের সব কাউন্সিলারকে প্রশ্ন ও প্রস্তাব পেশের সুযোগ দেওয়া হয়।’ বামেদের তরফে ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই কাউন্সিলার মধুছন্দা দেবের যুক্তি, ‘আমরা দুই বাম কাউন্সিলার আমাদের সংখ্যার নিরিখে যথাসম্ভব প্রশ্ন, প্রস্তাব উত্থাপন করি। বিরোধীদের নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *