অর্থাৎ, অন্য রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখানে স্বাস্থ্যসাথীর রোগী দেখা যাবে না। সে জন্যে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া বাধ্যতামূলক হলো। এই মর্মে জোড়া আদেশনামা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। এ বিষয়ে সব বেসরকারি হাসপাতালকেও সতর্ক করা হয়েছে ওই আদেশনামায়। জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথীতে রোগী দেখতে গেলে প্রত্যেক চিকিৎসককে এ রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসাথীর পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর্তাদের পর্যবেক্ষণ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের বহু চিকিৎসক যেমন এখানে স্বাস্থ্যসাথীর রোগী দেখেন, তেমনই আবার এ রাজ্যের চিকিৎসক দক্ষিণ ভারতের মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে সেখানকার মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম রেজিস্টার করিয়ে রাজ্যে ফিরে ৬ মাসের মধ্যে আর এখানকার রেজিস্ট্রেশন নেন না।
এর ফলে চিকিৎসায় গাফিলতির কোনও মামলা হলে সমস্যায় পড়তে হয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সম্প্রতি এমন ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটার পরেই এ রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার নিয়মটি বাধ্যতামূলক করা হলো। এর অন্যথা হলে ওই চিকিৎসক যে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত, সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধেও ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আটকে দেওয়া হবে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের বিলও। স্বাস্থ্যকর্তাদের আশা, এতে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।