Teacher Transfer: বদলি নিয়ে বিড়ম্বনায় শিক্ষক, ভাঙতে চলেছে ‘সংসার’ – south 24 parganas joynagar school students are unhappy as their favorite teacher going to be transfered


স্কুলই ছিল তাঁর জগত। বলতে গেলে তাঁর কাছে বাড়ি ঘর, সংসার। বদলির অর্ডারের চিঠি আসায় সেই সংসারে এখন ভাঙন। তিনি অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আর এই স্কুল বাড়িই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। তাঁর বদলির অর্ডার আসায় ভেঙে পড়ছেন সকলে। এই বিচ্ছেদ কিছুতেই মানতে পারছেন না স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে আরম্ভ করে অভিভাবকেরা। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ, স্কুলে তালা পড়ুয়াদের। খবর পেয়ে দৌড়ে এসেছেন স্কুল পরিদর্শক ও পুলিশও। ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের পূর্ব জাঙালিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

মঙ্গলবার এই বদলির অর্ডার আসে জয়নগরের পূর্ব জাঙালিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্বজিৎ মারিকের। সেটি জানাজানি হতেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন স্কুলের পড়ুয়ারা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করছেন বিশ্বজিৎ মারিক। বর্তমানে তিনি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত। এবার তাঁর পদোন্নতি হয়েছে, একইসঙ্গে এসেছে বদলির অর্ডারও। এই বিশ্বজিৎ স্যারের হাত ধরেই স্কুলে আসে বদল ।

অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক ও শারীরিক গঠনে উদ্যোগী হন শিক্ষক বিশ্বজিৎ মারিক। যে কোনও প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জন্য তার দ্বার ছিল অবারিত। রাত-বিরেতে যে কোনও প্রয়োজনে অনায়াসে তাঁকে পাওয়া যেত পাশে, ফোন করা যেত। হাসিমুখে সবসময় ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করতেন শিক্ষক বিশ্বজিৎ মারিক। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের এই সুদৃঢ় বন্ধন ও ভালোবাসার হাত ধরেই ক্রমশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে এই স্কুল। কান্নাভেজা গলায় স্কুলের ছাত্রী আসিয়া সর্দার জানান, স্যার এই স্কুলেই থাকবেন। তাই তালা লাগিয়ে দিয়েছেন তারা। এক অভিভাবক আজমিরি সর্দার জানান, ‘আমাদের ভুল গুলো খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতেন তিনি। আমরা সহজেই সন্তানদের ভালোর জন্য তাঁর পরামর্শ পেতাম। তিনিও সন্তানের কোনও ভুল দেখলে আমাদের জানাতেন। এমন একজন শিক্ষককে আমরা হারাতে চাই না।’

Teacher Transfer: শিক্ষকদের গ্রামে পড়ানো বাধ্যতামূলক? বদলি নিয়ে এই সময় ডিজিটালে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

এই ভালোবাসাই শিক্ষকের পায়ে পরিয়েছে শিকল। পদোন্নতি পেয়েও বিড়ম্বনায় তিনি। এবার আন্দোলন ছেড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পড়াশোনা শুরু করে তাই বুঝিয়ে চলছেন তিনি। খবর পেয়ে এসেছেন স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তিনি তার উচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।’ এসবের মধ্যেই এখন আটকে বিশ্বজিৎবাবুর বদলি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *