এদিন সকালে ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানানো হয়েছে, শহরের রাস্তায় এই মুহূর্তে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বেলা গড়ালে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা দলে দলে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হলে ট্রাফিকে চাপ পড়তে পারে। তবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়াই আজ ট্রাফিক পুলিশের স্ট্র্যাটেজি। কোথাও কোনও রাস্তায় যান চলাচল আটকে গেলে অন্য রাস্তা দিয়ে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যেসব রাস্তায় হতে পারে যানজট-
শিয়ালদায় নেমে বিজেপি কর্মীরা সেখানে দলের তরফে করা ফুড কাউন্টারে খেয়ে রওনা হবেন ধর্মতলার উদ্দেশে। তারা হিন্দ সিনেমার সামনে দিয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে আসবেন ধর্মতলায়। উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকেও পায়ে হেঁটে রওনা হবেন নেতা কর্মীরা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে আসবেন ধর্মতলায়। হাওড়া স্টেশনে নেমে ধর্মতলায় আসা বিজেপি কর্মীরাও সেখানে দলের তরফে রাখা ফুড স্টলে খেয়ে রওনা হবেন সভাস্থলে। হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে পায়ে হেঁটে পোদ্দার কোর্টের পাশ দিয়ে গনেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ হয়ে সভা মঞ্চের সামনে পৌঁছবেন তাঁরা।
এছাড়া কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও ছোট ছোট দলে সভায় আসছেন কর্মীরা। রাস্তায় আটকে পড়লে তাদের পায়ে হেঁটে সভাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন উত্তর কলকাতা থেকে ধর্মতলামুখী গাড়িগুলিকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়ে দক্ষিণের দিকে পাঠানো হবে। একইভাবে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী গাড়িগুলিকে জওহরলাল নেহরু রোড, ডোরিনা ক্রসিং হয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তবে বাকিটা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। খোলা থাকছে এজেসি বোস রোড, এপিসি রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, রেড রোড।