একসময় গোরুর হাটের মুন্সির কাজ করা জাফিকুলের উত্থান কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যের থেকে কম নয়। কী ভাবে চার চারটি কলেজের মালিক হলেন তিনি? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আজ থেকে কয়েক বছর আগেও জাফিকুলের জীবনযাত্রা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি গোরুর হাটের মুন্সির কাজ করতেন। অর্থাৎ গোরু পিছু টাকা আদায়ের কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি।
এরপর রুজির জন্য তিনি মারুতি ভ্যান চালক হিসেবে কাজ করেন দীর্ঘ সময়। পরে ভাগ্য বদলানোর জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে শুরু করেন মুড়ি মিল। এলাকাবাসীদের দাবি, সেটাই ছিল জাফিকুলের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ক্রমশ ফুলে ফেঁপে ওঠে তাঁর ভাঁড়ার।
ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতেও ভাগ্য অন্বেষণের চেষ্টা করেন জাফিকুল। প্রথমে তিনি কংগ্রেসের কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। কিন্তু, পরবর্তীতে তিনি যোগদেন তৃণমূলে। রাজ্য শাসক দলে যোগদান করে তিনি প্রথমে লড়েছিলেন পুরসভা ভোটে এবং জয়ীও হন। এরপর ২১-এর নির্বাচনে লড়ে জাফিকুল বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন।
বর্তমানে ডোমকল পুরসভার প্রশাসক পদেও রয়েছেন তিনি। একসময় মুন্সির কাজ করা জফিকুলের সম্পত্তি রীতিমতো মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। তাঁর গোবিন্দপুরে বিলাশ বহুল বাড়ি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক গাড়িও। এই মুহূর্তে তাঁর বিএড এবং ডিএলএড-এর চারটি কলেজ রয়েছে।
এলাকাবাসীর কথায়, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরে অর্থিকভাবে ধারে ভারে বেড়েছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির শৌচাগার থেকে পাওয়া গিয়েছে লাখ লাখ টাকা। সাত লাখ টাকার বেশি মিলেছে সেখান থেকেই সূত্রের খবর এমনটাই। এরপরেই তাঁর বেডরুমেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেও মোটা টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনায় অনেকের স্মৃতিতে উঠে আসছে পার্থ-অর্পিতার কথা। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে তোড়া তোড়া টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরাও। শেষ পর্যন্ত কত টাকা উদ্ধার হয়েছে? সেই তথ্য এখনও সামনে আসেনি।