এদিন সকাল ৯টা নাগাদ দেবরাজের বাড়িতে CBI পৌঁছয়। সেই সময় অবশ্য তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে CBI আসার খবর পেয়ে তিনি ফিরে আসেন। এরপর তাঁকে নিয়ে বাড়ির মধ্যে যান গোয়েন্দারা। কোন মামলার জন্য তাঁর বাড়িতে CBI! তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাঁর গোটা বাড়ি মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় তদন্তকারীরা। ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে CBI। এছাড়াও CBI-এর নজরে বাপ্পাদিত্যও।
গত বছর ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় দেবরাজকে তলব করা হয়েছিল। বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তাঁকে তলব করে CBI।
সেই সময় CBI দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগে দেবরাজ বলেছিলেন, ‘আমাকে একটা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমাকে ডাকা হয়েছে। তদন্তে সাহায্য করব। আমার কাছে যতটা তথ্য রয়েছে জানাব।’ উল্লেখ্য, দমদম পার্ক হরিচাঁদ পল্লির বাসিন্দা প্রসেনজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির পাশ থেকে। তিনি এলাকায় BJP কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালে এই মামলার তদন্ত গিয়েছিল CBI-এর হাতে। তদন্তে নেমে দেবরাজকে তলব করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার ধর্মতলা থেকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছিলেন অমিত শাহ। তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অনুব্রত মণ্ডলের নাম। তাঁদের বরখাস্ত করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন শাহ। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। রাজ্য শাসক দলের দাবি, এজেন্সি রাজনীতি করছে বিজেপি। কিন্তু, এভাবে সাধারণ মানুষের মতামত বদলে দেওয়া যাবে না। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।
উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত তিনি সংশোধনাগারে।