ঠিক কী বলেছেন তিনি?
অখিল গিরি এই টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে দলীয় নেতার পাশে থেকেছেন। তিনি বলেন, ‘অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজের বাড়ি থেকে কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি টিভিতে দেখেছি ডোমকলের বিধায়কের বাড়িতে টাকা গোনার জন্য মেশিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হতেই পারে। আমার বাড়িতে
টাকা থাকতেই পারে। আমি যদি বড় ব্যবসায়ী হই, টাকা লেনদেনের পরিধি যদি বড় হয় সেক্ষেত্রে অর্থ রাখতেই পারি। তবে হিসাব বর্হিভূত টাকা থাকাটা বেআইনি।’
অখিল গিরির এই মন্তব্য সার্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জাফিকুল বিধানসভা অধিবেশনে যোগদানের জন্য় কলকাতায় এসেছিলেন। কালো পোশাকে বুধবার তিনি প্রতিবাদও করেছিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বিধানসভা চত্বরে দেখা যায়নি।
আপাতত তিনি কোথায়, তা স্পষ্ট নয়। এদিকে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অনেকে বলছে জাফিকুলের বাড়িতে টাকা মিলেছে। তবে সেই অর্থ বৈধ বা হিসাব বর্হিভূত, তা এখনও জানা যায়নি। যদি সেই অর্থ আইনি হয়, তা হলে কোনও কিছু বলার নেই।’ তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘যদি উদ্ধার হওয়া এই অর্থ হিসাব বর্হিভূত হয় সেক্ষেত্রে আগেই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে এক্ষেত্রে।’
এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থ এবং গয়না উদ্ধার হয়েছিল। অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ কোটি মতো। এরপর ফের আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সুর চড়াতে শুরু করেছে BJP।
তবে শেষ পর্যন্ত কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন দিনভর রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় CBI। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তৎপরতাকে ‘এজেন্সি রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে রাজ্য শাসক দলের নেতারা।
(বিধায়কের বাড়ি বাম দিকে ও টাকা উদ্ধারের প্রতীকী ছবি ডান দিকে)