এই সময়: ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, করোনা মিটলেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) লাগু হবে। মাঝের দু’বছর তাঁকে এই আইনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে শাহি-ভাষণে আবার ফিরল সিএএ। বুধবার ধর্মতলায় দলীয় সভা থেকে তিনি সদর্পে ঘোষণা করলেন, ‘সিএএ দেশের আইন। এটা লাগু হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না।’ তবে এর দিনক্ষণ এদিনও নির্দিষ্টভাবে ঘোষণা করেননি শাহ। ফলে ধর্মতলার শাহি মঞ্চে বসে থাকা শান্তনু ঠাকুর, অসীম সরকারের মতো মতুয়া অধ্যুষিত এলাকার বিজেপি নেতারা দিনের শেষে কতটা আশ্বস্ত হলেন, তা নিয়ে সংশয় থেকেই গেল।
এদিনের সভায় সিএএ নিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখ খুলতে পারেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল দিন কয়েক আগেই। গত রবিবারই মন্ত্রিসভায় শাহের ডেপুটি অজয় মিশ্র টেনি বনগাঁর ঠাকুরনগরে দাবি করেছিলেন, ৩০ মার্চের মধ্যেই সিএএ-এর রুল ফ্রেম হয়ে যাবে। তারপরই রাজ্য রাজনীতিতে নতুনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সিএএ প্রসঙ্গ।
এদিনের সভায় সিএএ নিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখ খুলতে পারেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল দিন কয়েক আগেই। গত রবিবারই মন্ত্রিসভায় শাহের ডেপুটি অজয় মিশ্র টেনি বনগাঁর ঠাকুরনগরে দাবি করেছিলেন, ৩০ মার্চের মধ্যেই সিএএ-এর রুল ফ্রেম হয়ে যাবে। তারপরই রাজ্য রাজনীতিতে নতুনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সিএএ প্রসঙ্গ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মতো বিজেপির পুরোনো অস্ত্রেই লোকসভা ভোটের আগে শান দিয়ে চাইছেন শাহ। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব, বহিরাগত সমস্যা, রামমন্দিরের উদ্বোধনের মতো ইস্যুগুলি এদিন বারবার উঠে এসেছে ধর্মতলায় শাহের ভাষণে। এমনকী, স্বাধীনতার আগে সুরাবর্দির ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন লাইন’-এর সমালোচনা এবং গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (পাঁঠা) প্রশংসাও শোনা গিয়েছে শাহের গলায়। যদিও শাহকে কটাক্ষ করে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘ভোট এলে সিএএ-র কথা বলবেন, ভোট চলে গেলে সব ভুলে যাবেন! কেন্দ্রীয় সরকার কোনওদিন সিএএ কার্যকরী করতে পারবে না। কারণ, বাংলায় সিএএ লাগু করলে অসমেও করতে হবে। অসমের বিজেপি সরকারই তখন বিদ্রোহ ঘোষণা করবে।’